মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক কাঠালিয়ায় তিন দিনব্যাপী শিক্ষাক্রম বিস্তরণ প্রশিক্ষণ শুরু সংবাদ মাধ্যমে অস্থিরতায় ডিইউজের উদ্বেগ, বৈশ্বিক সম্মাননা পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নিয়োগ কাঠালিয়ায় মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগ থেকে বাঁচতে সবার সাহায্য চায় রাকিব সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় সারা দেশে প্রথম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নুসরাত যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাচ্ছি না : আল জাজিরাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাঠালিয়ায় কর্মীসভা করেন কেন্দ্রীয় নেতা এম মনিরুজ্জামান মনির ঝালকাঠিতে বিএনপির তারুন্যের রোডমার্চ স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে কৃষি কর্মকর্তা
সাতক্ষীরায় নির্যাতিতা নারী পেল স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের স্বীকৃতি

সাতক্ষীরায় নির্যাতিতা নারী পেল স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের স্বীকৃতি

সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতে মামলা দায়েরের পর ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তান পেল তা বাবার স্বীকৃতি, আর নির্যাতিতা নারী পেল স্ত্রীর মর্যাদা।  একই সাথে মা ও সন্তানকে ঘরে তুলে নিলেন আসামী রবিউল ইসলাম ওরফে নয়ন।

সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের আদালতে বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারী) তাদের রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন হয়।

এরপর আসামী নয়ন জামিন পেয়ে স্ত্রী ও ৪ মাস বয়সী পুত্র সন্তান আব্দুল্যাকে নিয়ে নিজ বাড়ীতে ফিরেছেন। বিষয়টি নিয়ে আদালত পাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়। উৎসুক অনেক বিচারপ্রার্থী ওই দম্পত্তিকে এক নজর দেখতে ভীড় জমায় আদালতের বারান্দায়।

জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানের স্বীকৃতির দাবীতে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে গত ১২ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মামলা করেন এক নারী (২২)।

যার মামলা নং নারী-শিশু ৪২২/২০। ওই মামলায় আসামী করা হয় সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত: মোকছেদ কবিরাজের ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে নয়নকে।

উক্ত মামলার পুলিশ আসামী নয়নকে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠান।  সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে আসামী নয়নের জামিন শুনানীর জন্য দিন ধার্য্য ছিল। উভয় পক্ষে শুনানীর সময় বাদী পক্ষ থেকে বলা হয় বাদীনীকে রেজিস্ট্রি বিয়ে, সন্তানের স্বীকৃতি এবং নগদ এক লক্ষ টাকা দেওয়া হলে আসামীর জামিনে তাদের কোন আপত্তি নেই।

এক পর্যায়ে আসামী নয়ন সকল শর্ত মেনে ওই দিনই এক লক্ষ টাকা দেনমোহরে এবং বাদীনীকে নগদ আরও এক লক্ষ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন করেন। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে বিচারক শেখ মফিজুর রহমান আসামী নয়নকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। পরবর্তীতে আসামী নয়ন জামিনে মুক্তি পেয়ে স্ত্রী ও পুত্র সন্তান আব্দুল্যাকে নিয়ে নিজ বাড়ীতে ফিরেন।

এ মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন, এড. আবু রায়হান। রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ পিপি এড. জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন







All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana