মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ অপরাহ্ন
সাকিবুজ্জামান সবুর:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইপি) নির্বাচনে পাটিখালঘাটা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয় (নৌকা প্রতীক) প্রত্যাশী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) এর উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও পাটিখালঘাটা ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম হৃদয় জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন।
শহিদুল ইসলাম হৃদয় বিগত দেড়যুগ ধরে এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন ও সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থেকে জনসেবা করে আসছেন। দলীয় নেতা-কর্মীসহ অসহায় লোকদের বিপদ-আপদে পাশের্^ থাকা ও মহামারি করোনাকালীন সময়ে সম্মুখযোদ্ধা হয়ে বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার কারণে এলাকাবাসীর নিকট প্রিয় নেতা ও সমাজসেবক হিসেবে পরিচিতি র্অজন করেছেন। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ওয়ার্ড ও মহল্লার প্রতিটি ঘরের দ্বাওে দ্বাওে গিয়ে আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও পরিকল্পনা ফিরি¯িহ তুলে ধরার মাধ্যমে জনগনের মন জয় করতে চেষ্টা অব্যাগত রাখছেন।
এদিকে গত ৫মার্চ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনয়ির সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন সভাপতি শিশির দাসের বিরুদ্ধে দলীয় নেতা-কর্মীদের অবমূল্যান, ষড়যন্ত্র ও নামে-বেনামে মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ এনে তৃর্ণমূলেল নেতৃবৃন্দের সম্মতি ও মতামতের ভিত্তিতে জেুলেশনের মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচনে তাকে (শিশির দাসকে) মনোনয়ন না দেয়ার জন্য কেদ্রেীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতির বরাবর লিখিত সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। এ সুপারিশ আবেদনের অনুলিপি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর প্রদান করা হয়। তৃর্ণমূল থেকে কেন্দ্রে পাঠানো এ সুপারিশে রেজুলেশনে শিশির দাস ব্যতীত দলের নিবেদিত ও পরীক্ষিত যে কাউকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন(নৌকা প্রতীক) দিলে সবাই এক হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করা হয়।
শহিদুল ইসলাম হৃদয় জানান, আমি ১৯৯৫সনে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে অধ্যায়নকালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগদান করে ২০০০ সন থেকে কলেজ শাখার ছাত্রলীগের, ২০০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত মুজিব সেনা পরিষদের কমিটিতে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের শাসনামলে শিবিরের সাথে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষে আমি মারত্মকভাবে আহত হলে আমকে পুরাতন ঢাকার সুমানা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। হেফাজত ইসলামের আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের হামলায় আমি বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পার্টি অফিসের সামনে গুরুতর আহত হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার পিতা ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব, তখন তিনি স্থানীয় যুদ্ধাহতসহ বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা করার কারণে পরবর্তীতে পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা আমাদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালায় এবং তাকে পাকবাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করে।
২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এমাদুল হক মনিরের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার হই এবং জেল-জরিমানাসহ শাস্তিভোগ করি। এছাড়া প্রতিটি স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে দলীয় সমর্থিত প্রার্থী এবং দলীয় সকল কর্মসূচীতে নিষ্ঠার সাথে কাজ করছি। গত ২০১৬ সনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু এবং ঝালকাঠি-১(কাঠালিয়া-রাজাপুর) আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনসহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের নির্দেশে এবং নৌকা মনোনীত প্রার্থী শিশির দাস পরবর্তী নির্বাচনে আমাকে ছেড়ে দেয়ার অঙ্গীকার করায় আমার কর্মী সমর্থক নিয়ে তার পক্ষে কাজ করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করি।
আসন্ন নির্বাচনে আমি মনোনয়ন পেলে দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হব ইন্শাল্লাহ।