শনিবার, ০৩ Jun ২০২৩, ০৯:৪১ অপরাহ্ন

দখিনের উপকূলে কুয়াশা ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

দখিনের উপকূলে কুয়াশা ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

মোঃ আমির হোসেন, ঝালকাঠিঃ

উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে গত কয়েকদিন ধরে শীতল বাতাসে বেড়েছে কনকনে শীত, সেই সাথে ঘনকুয়াশার কারণে জেঁকে বসা শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

কনকনে শীতের সঙ্গে কুয়াশার দাপট বেড়ে যাওয়ায় ছন্দপতন ঘটছে স্বাভাবিক জীবনে। দক্ষিণের জনপদে হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় শীত বস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল মানুষের কষ্টটা একটু বেশিই।

এদিকে, শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালগুলোয় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশুই বেশি।

সদর হাসপাতালে বেশ সংখ্যক শিশু ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিনই অর্ধশত শিশু নানা রোগ নিয়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

শিশু এবং বয়োবৃদ্ধরাই ঠান্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শীতের মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের আশঙ্কায় কাঙ্খিত সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে জেলার হাসপাতালগুলোতে দায়িত্বরতরা।

ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে বৃদ্ধ ও শিশুদের বাঁচাতে সচেতন হবার পরামর্শ চিকিৎসকদের। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু জাফর দেওয়ান বলেন, ‘ বৃদ্ধ ও শিশু বাচ্চাদেরকে কোনভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না।

তাদেরকে ভালভাবে গরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং দিনে রোদ পড়লে তারপর ঘর থেকে বের করতে হবে।’ রবিবার (২৪ জানুয়ারি) বরিশাল আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে বিকেল ৫টায় ২৫ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আবছা রোদ অবস্থা বিরাজ করছিলো, যা স্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর। সকাল ৭টার দিকে আবহাওয়ার তাপমাত্রা ছিলো ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেই সাথে ঘনকুয়াশা।

দেখাগেছে, ঘন কুয়াশার কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। গেল তিন দিন থেকে পড়ছে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না।

বিকেল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়তে থাকে দক্ষিণের উপকূলীয় এ ঝালকাঠির জনপদ। সারারাত থাকে তীব্র ঠান্ডা। ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া, ছিন্নমূল ও চরাঞ্চলের মানুষ। সকাল সকাল কাজে যোগ দেওয়া শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট বেড়েছে দ্বিগুণ।

ঘন কুয়াশার কারণে তারা সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না। কৃষকরাও অনেকটা দুর্ভোগে পড়েছে। অনেকের আমন ধান কাটা শেষ হয়নি এখনও। অপরদিকে চলতি বোরো চাষের মৌসুম শুরু হলেও শীতের কারণে ক্ষেতে চারা রোপণে কালক্ষেপণ হচ্ছে। এদিকে তাপমাত্রার ওঠানামা এবং ঘন কুয়াশার কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু, নারী ও বয়োবৃদ্ধরা।ৎ

 

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন







All rights reserved@KathaliaBarta-2021
Design By Rana