শনিবার, ০৩ Jun ২০২৩, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন

ক্ষমা পেলেন পাখি পুড়িয়ে মারা নলছিটির সেই ব্যক্তি

ক্ষমা পেলেন পাখি পুড়িয়ে মারা নলছিটির সেই ব্যক্তি

অনলাইন ডেস্ক:

আক্রোশে পাখির বাসায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত জালাল সিকদারকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুম্পা সিকদার।

তবে এই তথ্য প্রকাশের কারণে স্থানীয় শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল শিপনের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আব্দুল্লাহ আল শিপন বলেন, শনিবার রাত ৮টার দিকে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে তার কার্যালয়ে যেতে বলেন।

একই সঙ্গে ইউএনও পুলিশ পাঠিয়ে জালাল সিকদারকে ধরে নিয়ে যান। ইউএনওর দপ্তরে গিয়ে দেখি জালাল সিকদারের সসঙ্গে তার লোকজন।

এসময় তাদের কাছে ইউএনও জানতে চাইলে তারা সাফাই স্বাক্ষী দিয়ে জানান, পাখির বাসা বা ছানার গায়ে আগুন দেওয়া হয়নি। ২/১ টি বাসা পিটিয়ে ছুটিয়ে ফেলা হয়েছে।

তিনি বলেন, এসময় আমার কোন স্বাক্ষী না থাকায় জালাল সিকদারকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। পরে জালাল আহমেদ ও তার লোকজন আমাকে চাঁদাবাজসহ বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে।

এমনকি রোববার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে আসার পর তার সামনেই আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হাসান বলেন, কতগুলো পাখির ছানা পুড়ে মারা গেছে তা তদন্তের বিষয়। তবে বাবুই পাখির বাসায় আগুন দেওয়া হয়েছে এটা সত্য। কাপড়ে কেরসিন দিয়ে আগুন লাগানো হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

নলছিটির উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুম্পা সিকদার বলেন, পাখির বাসায় আগুন দেওয়া বা ছানা পুড়িয়ে মারার ঘটনার কোন স্বাক্ষ্য-প্রমাণ নেই। পাশাপাশি পাখির বাসা পিটিয়ে ফেলাসহ তার কৃতকর্মের জন্য জালাল সিকদার অনুতপ্ত হয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। তাই তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। জালাল সিকদার আমাকে বলেছে তার প্রচুর ধান খেয়ে ফেলায় মাথা গরম হওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিষয়টি ক্ষমার যোগ্য মনে করায় জালাল সিকদারকে ক্ষমা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে খুলনা বণ্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণের পরিদর্শক রাজু আহমেদ বলেন, ঝালকাঠির পাখি পুড়িয়ে মারার ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি।

এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একটা সিদ্ধান্ত নেবে। তবে ইউএনও যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা অবশ্যই তিনি নিতে পারেন। কিন্তু এটা যে নিকৃষ্ট ঘটনা এতে কোন সন্দেহ নেই।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জুমার নামাজের আগে নলছিটির ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ঈশ্বকাঠি গ্রামের বাসিন্দা জালাল সিকদার তার দোকানের পাশে তাল গাছে থাকা বাবুই পাখির বাসা পুড়িয়ে দেন।

এতে পাখির ৩০টিরও বেশি পুড়ে ছানা মারা গেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন







All rights reserved@KathaliaBarta-2021
Design By Rana