বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় আগামি ১১এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ৬জন প্রার্থীর বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দেন ১০জন প্রার্থী। কিন্তু আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের কঠোর হুঁশিয়ারিতেও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা কমেনি। দেখাগেছে প্রতিটি ইউনিয়নে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন একাধিক। তবে দলের কঠোর হুঁশিয়ারিতে ২৪ মার্চ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম মামুন ও আমুয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান লাল এ দুই প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে বরাবরের মতো এবারেও হিমশিম খেতে হয় আওয়ামী লীগকে। এর প্রেক্ষিতে ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সভপতি সরদার মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. খান সাইফুল্লাহ পনির (২০ মার্চ) এবং কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবুর রহমান উজির সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. এমদুল হক মনির (২১ মার্চ) স্বাক্ষরিত দুটি আলাদা চিঠিতে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়া এবং এসব প্রার্থীদের পক্ষে সমর্থনকারী নেতা-কর্মীদের দল থেকে স্থায়ী বহিস্কারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহনের কঠোর হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের কঠোর হুশিয়ারি আমলে নেয়নি অধিকাংশ বিদ্রহীরা। উপজেলার ৬ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত ১০ বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ২জন চেয়ারম্যন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও বাকী পদধারী ও প্রভাবশালী ৮জন বিদ্রোহী প্রার্থী তাদের সিদ্ধান্তে অটল থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। এরা হলেন- ১নং চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আ’মী লীগ নেতা মোঃ জাকির হোসেন ফরাজী, ২নং পাটিখালঘাটায় উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দীন আল আজাদ বাদল এবং ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী যুবলীগের ঢাকা (দক্ষিণ) উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হৃদয়, ৫নং শৌলজালিয়ায় উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম বুলবুল ও ৬নং আওরাবুনিয়ায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি কামরুজ্জাামান লিটন নকীব, তার ছোট ভাই মো. মনিরুজ্জামান নকীব ও ইউনিয়ন আ’লীগ সাবেক সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা এবং আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আজিম মানিক।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটা অংশ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় মহাবিপাকে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রর্থীরা। এছাড়া ৫টি ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ২টি ইউনিয়নে বিএনপি (স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টি (জাপা) ও জেপি দলের প্রার্থী রয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবুর রহমান উজির সিকদার বলেন, কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতিমধ্যে যারা দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ইউপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।