রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হয়েছে। আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ৪ মিনিটের এক ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেখানে জাহাঙ্গীরকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু ৩০ লাখ (মুক্তিযোদ্ধা) মারাইছে। ৬৪ জেলায় ৪৫ হাজার করে মরেছে প্রতি জেলায়। তাঁর স্বার্থ উদ্ধার করে নিয়েছে।’ সেখানে তাঁর কথায় স্পর্শকাতর অনেক বিষয় ছিল, যা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য উঠে আসে। এতে গাজীপুর আওয়ামী লীগের একটি অংশ মেয়রকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলে। যদিও মেয়র দাবি করেছেন, তাঁর আলাদা আলাদা বক্তব্যকে একসঙ্গে জুড়ে দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
পরদিন ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে টানা কয়েকদিন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগের একটি অংশ। এতে নেতৃত্ব দেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মামুন মন্ডলসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।
পরে ২৪ সেপ্টেম্বর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা হচ্ছে। ভিডিওটি ভিত্তিহীন। জনগণকে সাথে নিয়ে কুৎসা রটনাকারীদের মোকাবেলা করা হবে। তারা অনেক মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে। মিথ্যা আইডি দিয়ে ফেসবুক খুলে তাঁকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
এ ঘটনার পর থেকে গাজীপুরের রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হতে শুরু করে। আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়ে যায় দুটি পক্ষে। একটি অংশ মেয়রের পক্ষে থাকে। অপরটি বিপক্ষে।
এসব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে গত ৩ অক্টোবর জাহাঙ্গীরের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করে চিঠি দেয় আওয়ামী লীগ। এতে তাঁকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়। বেঁধে দেওয়া সময়সীমার আগেই মেয়র জাহাঙ্গীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর নোটিশের জবাব দেন।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাকে এখনো পার্টি থেকে জানানো হয়নি। আমি কোন কাগজও পাইনি।’