শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কাঠালিয়ায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায় করলেন মুসল্লিরা গাবখান টোল ট্রাজেডি নিহত সেই ভিক্ষুক শহিদের পরিবারের পাশে রক্তযোদ্ধারা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ কাঠালিয়ার কাপড় ব্যবসায়ী মাহতাব উদ্দিনের দাফন সম্পন্ন বৃষ্টির জন্য কাঠালিয়ায় ইস্তিসকার নামাজ আদায় ঝালকাঠিতে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায় করলেন মুসল্লিরা তাপপ্রবাহে তৃষ্ণার্তদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করছে সামাজিক সংগঠন ইয়াস ঝালকাঠিতে তীব্র তাপদাহের মধ্যে উত্তপ্ত সড়ক ছাড়ছেন না ট্রাফিক পুলিশ হিটস্ট্রোকে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু ভোগাচ্ছে জমে থাকা তাপ
রাজাপুরে জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান

রাজাপুরে জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান

Exif_JPEG_420

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ৯১নং পশ্চিম রাজাপুর ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানাগেছে, ১৯৯৪-৯৫ অর্থ বছরে তিন কক্ষের এই ভবনটি নির্মিত হয়। কয়েক বছর পূর্বেই ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। স্কুলের ক্লাসরুম সংকট থাকায় বাধ্য হয়ে তিনটি কক্ষের একটিতে ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

জরাজীর্ণ ভবনের একটি কক্ষ ও পাশের একটি ভবনের দুইটি কক্ষে স্কুলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত ছয় শ্রেনীর পাঠদান চলে। তিন কক্ষ বিশিষ্ট জরাজীর্ণ ঐ ভবনের দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। ভবনের প্রতিটি পিলার ফেটে ভিতরের লোহার রড বের হয়ে গেছে।

সিলিং এর পলেস্তার খসে পরে লোহার রড বের হওয়াসহ বর্ষা মৌসুমে ছাদ থেকে সমানে পানি পরে। দরজা-জানালা অনেক আগেই খসে পরেছে। এখন যে কোন সময় ভবনটি ধসে পড়তে পারে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা সব সময় অতঙ্কে থাকে। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পায়। এ কারনে স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।

বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী আসিফ, জুনিয়া, মুন্নি, জামিলা জানায়, স্কুলের ভাঙ্গা রুমে ক্লাস করতে ভয় হয়। এ কারনে অনেক সময় স্কুলে আসিনা।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবক জানায়, স্কুলের যে অবস্থা যে কোন সময় ভেঙ্গে পরতে পারে। এ কারনে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে মাঝে মাঝে বাচ্চাদের স্কুলে যেতে বারণ করি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম চাঁন বলেন, ভবনটি যে কোন মূহুর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে। যার কারনে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে রয়েছে। এখন অভিভাবকরা আর তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে চায়না। এখন দ্রæত সংস্কারসহ নতুন ভবনের দাবী জানায় কর্তৃপক্ষের কাছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান বলেন, ঐ বিদ্যালয় সম্পর্কে আমাকে কেউ জানায়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ডেকে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।

 

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




Archive Calendar

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  




All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana