সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন

ঝালকাঠিতে অতিথি পাখির কলতানে পর্যটন সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে কুমারখালি মরা নদী

ঝালকাঠিতে অতিথি পাখির কলতানে পর্যটন সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে কুমারখালি মরা নদী

ঝালকাঠিতে অতিথি পাখির কলতানে পর্যটন সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে কুমারখালি মরা নদী

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

অতিথি পাখির কলতানে ও সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঝালকাঠির কুমারখালির সুগন্ধা নদীর মরা নদী অংশ (মরগাঙ্গী) হতে পারে নয়নাভিরাম পর্যটন কেন্দ্র। জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন এর কুমারখালিতে প্রবাহমান সুগন্ধা নদীর একটি মরা শাখা রয়েছে যা এলাকাবাসীর কাছে মরগাংগী নামেই পরিচিত।

নদীর প্রবাহমান স্রোত না থাকায় স্থানটি এখন একটি বিশাল লেকের মতন হয়ে গেছে। প্রতি বছর শীতের মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে থাকে এই জলরাশি।চারদিকে সবুজের সমারোহ সামনে বিশাল জলরাশিতে ঝাকে ঝাকে অতিথি পাখির ভেসে বেরানোতে সকাল সন্ধায় যেন এক অপরুপ রূপ ধারন করে।

অনেকেই দূর দুরন্ত থেকে অনেক সময় ঘুরতে আসেন এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা না থাকায় বসার বা ভালোমত হাটার কোনো ব্যবস্থাও নেই। এর এক প্রান্তে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাথে সংযুক্ত থাকলেও সেটি উন্নয়নের বাইরে রয়ে গেছে। প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের আমলে সেই অংশের রাস্তাটি পাকা করে দেয়া হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছিলো।

পর্যটকদের জন্য কিছু বসার বেঞ্চ দেয়া হলে, রাতে অন্ধকার দূর করতে কিছু বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা হলে ব্যাপক লোক সমাগম হতে পারে এখানে।এছাড়াও পর্যটক টানতে কিছু পরিকল্পনা এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রাখতে পারে।

এলাকাবাসীর আগ্রহে এই স্থানকে পর্যটন কেন্দ্র বানাতে ইতোমধ্যেই এর লিজের মালিকদের সাথে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছেন স্থানীয় সমাজকর্মী বালী তূর্য। তিনি বলেন, আমরা গত বছর থেকেই লিজ গ্রহিতাদেরকে উৎসাহিত করছি এই ব্যাপক সম্ভাবনাময় অঞ্চলে সামান্য কিছু বিনিয়োগ করতে। কিছু বসার বেঞ্চ আর লাইট হলেও এখানে প্রচুর লোক সমাগম হবে। অতিথি পাখির কলকাকলীতে এলাকাটি মুখরিত থাকে, তাই এই নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

এই জলাশয়ের সরকারি লিজ গ্রহীতাদের একজন অনুরাগ গ্রামের রাজিব চৌধুরী বলেন, এখানে একটি পর্যটন স্পট বানানোর চিন্তাভাবনা আমাদেরও রয়েছে। তবে আপাতত বাধ দেয়ার কাজটি বাকি রয়েছে। বাধের কাজ সম্পন্ন হলেই আমরা চেষ্টা করব যাতে এটির নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে সকলে পরিবার সহ এসে উপভোগ করতে পারেন। প্রতি বছর শীত মৌসুমেই সকলে পরিবার সহ ঘুরতে আসতে পারবেন এই নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।যারফলে এই অঞ্চলের অর্থনিতীতে ব্যাপক উন্নতির সম্ভাবনাময় সুযোগ রয়েছে।

ইউপি সদস্য সুজাত সিকদার বলেন, আমরাও চাই এই স্থানটির কল্যানে পুরো এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হোক। এখানে পর্যটন সম্ভাবনা রয়েছে, যার সঠিক ব্যবস্থাপনা হলে এলাকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে আর্থ সামাজিক ব্যাপক উন্নতি সম্ভব।

 

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




Archive Calendar

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  




All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana