রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন কৈখালী গ্রামের হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ছগির হোসেন ও অপর ভাই কবির হোসেন স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।
যমজ দুই ভাই দেখতে ও আচার আচারণে একই রকম। ছগির হোসেন পরকিয়ায় জড়িয়ে স্থানীয় একটি কলেজের অফিস সহকারীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননীকে পালিয়ে বিয়ে করে। আজ সোমবার (২৫মার্চ) দুপুরে কবির হোসেন উপজেলা সদরে বাজার করতে আসেন।
ভুক্তভোগী অফিস সহকারি ছগির হোসেনকে, কবির মনে করে হাটের মধ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। হাটুরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন কৈখালী গ্রামের বাসিন্ধা ও স্থানীয় চিংড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ছগির হোসেন (৩৮) তারই যমজ ভাই মো. কবির হোসেন (৩৮) একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। দেখতে এবং চলাফেরা আচার আচারণ একই রকম। ছগির হোসেনের সাথে পরকিয়ায় জড়ায় কাঠালিয়া সরকারি তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারি মো. জালাল আহম্মেদের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুমা বেগম। এক পর্যায় তারা পালিয়ে বিয়ে করে। ছগির হোসেনের প্রথম স্ত্রী ও স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও দুই সন্তানের জননী। এনিয়ে জালাল আকন, ছগির ও ছগিরের প্রথম স্ত্রীর মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলার ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার দুপুরে কাঠালিয়া মাছ বাজার সংলগ্ন আমির হুজুরের দোকানে সামনে বসে ছগির মনে করে তারই যজম ভাই কবিরকে লাঠি দিয়ে পেটায় জালাল।
এ ব্যাপারে অফিস সহকারী জালাল আকন জানান, ছগির আমার যে ক্ষতি করেছে তা পুরণ হবার নয়। ও আমার সংসার ভেঙ্গেছে। দুটি সন্তান নিয়ে এখন আমি দূর্বিসহ জীবন যাপন করছি। এ কারণে শারিরীক ও মানুষিকভাবে অনেকটা অসুস্থ্য। বাজারে গিয়ে একটি দোকানের সামনে দাড়িয়ে থাকা কবিরকে ছগির মনে করেছিলাম।
এ বিষয়ে আহত কবির হোসেন বলেন, জালাল আকন ইচ্ছেকৃতভাবে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপরে হামলা করেছে। তিনি ইতিপূর্বে আরো কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করেছেন। আমার মুখে দাড়ি রয়েছে এবং আমার ভাই ছগিরের মুখে দাড়ি নেই। সে যেনে বুঝেই আমার উপর হামলা করেছে।
ছগির হোসেনের মোবাইল ফোন বন্দ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, এখনও কোন অভিযোগ পাইনি পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।