সোমবার, ১৬ Jun ২০২৫, ০৭:৫২ অপরাহ্ন
উৎসর্গ : (১০ই জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে।)
যে বিপদ ক’ভু ভয় করে না, সেই তো পৃথিবীতে হাজার বছর বাঁচে।
যে বিপদে ক’ভু হতাশ হয় না কিংবা সাহস হারায় না,
সেই তো বিপদে নিশ্চিত জয় লাভ করে।
যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বারবারÑ
সেই তো মরেও অরমত্ব লাভ করেÑ বেঁচে থাকে পৃথিবীতে হাজার বছর।
সৎ সাহসী-সংগ্রামী মানুষেরা কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না।
কখনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ভয় পায় না।
তাঁরা নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
তাঁরা অন্যায়কে অন্যায় বলতে কুণ্ঠাবোধ করে না।
তাঁরা ন্যায়কে ভালোবেসে সাদরে গ্রহণ করতে দেরী করে না।
এমন সৎ-সাহসী, সৎ-চরিত্রের কিংবা সৎ ব্যবহার, সৎ-চিন্তার
মানুষ পৃথিবীতে কিন্তু বার বার জন্মে না।
একবারেই তাঁরা জন্ম নেয়Ñ যখন পৃথিবীতে পাপকার্য অন্যায়-অত্যাচার বৃদ্ধি পায়।
তাইতো বঙ্গবন্ধুই দুর্দিনে বাঙালিদের পাশে থেকেছেন।
তাইতো বঙ্গবন্ধুই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেনÑ
বরঞ্চ পাক-হানাদার পাক-বাহিনীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন।
এ জন্যই আজকে আমরা স্বাধীন জাতি-স্বাধীন মোদের দেশটা।
দেখো এমন মানুষ আজকে ক’জন আছে পৃথিবীতে।
বঙ্গবন্ধু যেমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন নির্ভয় চিত্তে।
তাইতো বঙ্গবন্ধু লাহোর কারাগারে পাকিস্তানে যখন বন্দী ছিলেন।
তখনও তিনি বারবার কারাগারে বসে প্রতিবাদ করেছেন।
যদিও তিনি বাঙালিদের দুর্দিনে পাকিস্তানের লাহোর কারাগারে বন্দী ছিলেন।
তবুও তাঁর মনটা বার বার কেঁদে উঠতো বাঙালিদের জন্যে।
তাইতো তিনি সৎ সাহসে বলেছিলেন হত্যা করুন-মারুন-কাটুন আপত্তি নাই।
কিন্তু হত্যা করলে যেন লাশটি আমার বাঙালিদের কাছে ফিরে যায় আপত্তি এটাই।
তাইতো বঙ্গবন্ধু আজো বেঁচে আচেন, পরে আছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকথা।
তাঁর আদর্শ ও অনুপ্রেরণাতেই উদ্বুদ্ধ হয়ে, আজকে আমরা পথ চলেছি তাঁর দিক নির্দেশনা অনুসরণ করে।
তাইতো মরেনি বঙ্গবন্ধু, মুছে যায়নি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকথাÑ
আজো আছে লক্ষ কোটি হৃদয়ে ভাস্বর হয়ে সংগ্রামী নেতার কীর্তিকথা।
রচনাকাল (তাং ১২/০১/২০১২ ইং বাসগৃহ)
কবি পরিচিতি
সুশান্ত চন্দ্র বেপারী
পিতাঃ স্বর্গীয়: সুধীর রঞ্জন বেপারী
গ্রামঃ আমুয়া, ডাকঘরঃ আমুয়া(৮৪৩১)।
থানাঃ কাঠালিয়া, জেলাঃ ঝালকাঠী।