মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০২:৪৫ অপরাহ্ন

শেবাচিমে হৃদরোগীদের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ

শেবাচিমে হৃদরোগীদের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ

হৃদরোগের রোগীদের জন্য স্ট্রেপটোকিনাস ও এক্সাপেরিন নামের ইনজেকশনের একটির মূল্য ৫ হাজার টাকা করে। এটি সরকারী ভাবে বিনামূল্যে রোগীর জীবন রক্ষাকারী জরুরী হিসেবে রোগীদের শরীলে দেওয়া হতো। কিন্তু বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের এটি প্রায় ৩ মাস ধরে সরবরাহ বন্ধ থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছে দরিদ্র রোগীরা।

প্রায় তিন মাস ধরে আপদকালীন ভান্ডারের ওষুধ সরবরাহও বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ। পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ পেলে রোগীদের চাহিদা প‚রণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আধুনিক হৃদরোগ বিভাগ চালু হয় ২০১১ সালে। এই ওয়ার্ডে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তির পর প্রথম ১২ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে বিনাম‚ল্যে সরবরাহ দেওয়া হতো স্ট্রেপটোকিনাস (ঝঃৎবঢ়ঃড়শরহধংব) নামে একটি ইনজেকশন।

এই ইনজেকশনের একটির মূল্য ৫ হাজার টাকা এবং আরেকটির মূল্য ৫০০ টাকা। যার বাজার ম‚ল্য ৫ হাজার টাকা। একই সাথে রোগীকে এক্সাপেরিন (ঊহড়ীধঢ়বৎরহ) নামে দুটি ইনজেকশন দেওয়া হতো। যার বাজার মূল্য ৫০০ টাকা করে মোট ১ হাজার টাকা। এতে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ পেত দরিদ্র রোগীরা। গত বছরের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয়ভাবে মূল্যবান এসব ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরবরাহ বন্ধের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দরিদ্র রোগীদের অসহায়ত্ব বিবেচনায় আপদকালীন সংগ্রহ থেকে রোগীদের বিনাম‚ল্যে ওই ওষুধ সরবরাহ করতো।

কিন্তু গত মধ্য অক্টোবর থেকে আপদকালীন সরবরাহ থেকে ম‚ল্যবান ওই ওষুধ সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়। এতে হৃদরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন দরিদ্র রোগীরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। সময় মতো জীবন রক্ষাকারী জরুরি ওষুধ না পেয়ে বিপন্ন হয়ে পড়ছে চিকিৎসাধীন রোগীদের জীবন। গত ১০ বছর আগে ১০ শয্যা দিয়ে শুরু করা শেবাচিমের হৃদরোগ বিভাগে এখন পর্যন্ত শয্যা সংখ্যা না বাড়লেও গড়ে এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি থাকে ৬৫ জন।
কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, প্রতিমাসে এই ওয়ার্ডে রোগী মৃত্যুর হার ৮ থেকে ১০ ভাগ। সরকারি সরবরাহ বন্ধ থাকায় এই ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর বেঁচে থাকার জন্য ওষুধের যোগান দিতে গিয়ে হাফিয়ে উঠেছে তাদের স্বজনরা। তাদের দাবি, হাসপাতাল থেকে জ্বর আর গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দেওয়া হয়। অন্য সব মূল্যবান ওষুধ নিজেদের টাকায় কিনতে হয়। প্রতি বছর শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রায় ২ কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু জীবন রক্ষাকারী জরুরি এসব ওষুধ কেন্দ্র থেকে সরবরাহ বন্ধ থাকায় সেগুলো রোগীদের দিতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ সরবরাহ পেলে রোগীদের প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব হবে। ওই ওষুধ সরবরাহের জন্য কেন্দ্রীয় দপ্তরে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।

 

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




Archive Calendar

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  




All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana