বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ অপরাহ্ন
ঝালকাঠির রাজাপুরে অপহরণের ৫ বছর পর মীর খায়রুল নামে এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পূর্বকানুদাসকাঠি গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মসজিদের পাশে কবরস্থানের মধ্যে বাশঝাড়ের নীচ থেকে পত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাটি খুঁড়ে খায়রুলের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠি সিআইডি কার্যালয়ে সহকারি পুলিশ সুপার এহসানুল হক সাংবাদিকদের জানান, ২০১৭ সাল থেকে গুম হয়ে নিখোঁজ ছিলেন মীর খায়রুল। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে গত সোমবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিজু নামে মামলার এক স্বাক্ষীকে সিআইডি কার্যালয়ে আনা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পূর্বকানুদাসকাঠি গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মসজিদের পাশে কবরস্থানের মধ্যে বাশঝাড়ের নীচ থেকে মাটি খুড়ে খায়রুলের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
সিআইডি আরো জানায়, ২০১৭ সালের ০৯ সেপ্টেম্বর মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে মীর খায়রুলকে অপহরণ করে এই মামলার আসামী মনিরের বাড়িতে নিয়ে খুন করে লাশ বাড়ির পাশে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। আর এ কাজে জড়িত ছিলো কানুদাসকাঠি এলাকার ফোরকান, সোহাগ, মনির ও গিয়াস নামের চারজন। পরবর্তীতে ওই স্থান থেকে লাশটি পূর্বকানুদাসকাঠি গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মসজিদের পাশে কবরস্থানের স্থানান্তরের জন্য দ্বায়িত্ব দেয়া হয় মিজান হাওলাদার মিজু নামের এক ব্যক্তিকে।
এ ঘটনায় খুন হওয়া খায়রুলের ছোটভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। থনা পুলিশ কিছুদিন মামলা তদন্ত করার পর ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বরে মাসে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। মামলার আসামীরা পলাতক রয়েছে।
খুন হওয়া মীর খায়রুল রাজাপুর শহরের বাইপাস মোড় এলাকার আনছার মীরের ছেলে। সে রাজাপুর বাইপাস এলাকায় একটি পরিবহণের কাউন্টারের ব্যবসা করতো।
কঙ্কাল উদ্ধারের সময় সিআইডি সদস্যদের সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানান সহকারী পুলিশ সুপার এহসানুল হক।