শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন
রেকর্ড ছাড়িয়েছে দেশের ডিমের দাম। খুচরা বাজারে একটি ডিমের দাম এখন ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা। আর পাইকারি বাজরে দাম সাড়ে ১১ টাকা। ডিমের বাজারে কেন এই নৈরাজ্য কারা রাতারাতি দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে তা জানা নেই সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো সংস্থার। এদিকে হঠাৎ ডিমের আকাশ ছোঁয়া দামে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, বাজার তদারকিতে কেউ না থাকায় এ রকম ফাঁকা মাঠে ডিমের দাম তড়তড় করে বাড়ানো হচ্ছে।
ডিমের পাইকাররা জানান, রাজধানীতে ডিমের অন্যতম যোগানদাতা গাজীপুর ও টাঙ্গাইলের খামারিরা। জ্বালানির দাম বাড়ার পর এসব এলাকা থেকে যে কোনো পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়েছে দুই হাজার টাকা। একটি ট্রাকে ডিম আসে অন্তত ৫৫ হাজার। সেই হিসাবে ১০০ ডিমের জন্য পরিবহন খরচ বেড়েছে তিন টাকা ৬০ পয়সা।
ক্রেতারা বলেন, গেলো সাত দিনে পিস প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে সাড়ে তিন টাকা।
দুই সপ্তাহ আগেও একশ ডিমের পাইকারি দর ছিল ৯৫০ টাকা। নতুন খরচ যুক্ত হলেও দাম হওয়ার কথা ৯৫৩ টাকা। কিন্তু পাইকারিতে ১০০ ডিমের দাম এখন সাড়ে ১১শ’ টাকা।
পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে গিয়ে এই দাম হচ্ছে সাড়ে ১২শ’ টাকা। অর্থাৎ ১০০ ডিমে বাড়ছে আরও ১০০ টাকা।
সাধারণ ক্রেতারা জানান, পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানে গিয়ে আরেক দফা চড়ছে দাম। প্রতি পিছ ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৩ টাকা। প্রতি হালি ৫৫ টাকা।
তাদের দাবি, নতুন করে মুরগির খাবারের দাম বাড়েনি। জুনে ৫০ কেজি বস্তার দাম ছিলো ২৮৩৮ টাকা। যা এখনও তাই আছে। তাহলে কেন দামের এই অরাজকতা!
তারা বলেন, বাজারে তদারকি না থানায় দিনশেষে মানুষ ভুগছে। এমন অবস্থায় ডিমের বাজারে সরকারের নজরদারি দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।