সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় আলোচিত শিশু শিক্ষার্থী নুশরাত জাহান নোহার রহস্যজনক মৃত্যুর জট খুলেছে। “শিক্ষকের বেত্রাঘাত ও প্ররোচনায়ই আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠছে” স্থানীয় দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমীর ৩য় শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী নুশরাত জাহান নোহা।
আদালতে গ্রহণ করা অভিযোগপত্র সম্পর্কে আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে নোহার স্কুলের শ্রেণি শিক্ষক উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের মো. আব্দুল লতিফ পাইকের ছেলে শফিকুল ইসলাম সুমন পাইককের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থী নোহার আত্মহত্যায় প্ররোচনায় অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন, যার সিএস নং-৪৭।
আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের সুমন মিয়া’র ১০ বছরের শিশু কন্যা নুশরাত জাহান নোহা স্থানীয় দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমীর ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নোহাকে তার দাদা আব্দুর রহিম কিছু সম্পত্তি লিখে দেওয়ার কথা জানাজানি হলে নোহার মৃত্যুর পরে অভিযোগের তীর ছিল নোহার সৎ মা ঝুমুর বেগম, ফুফু লিপি বেগমের দিকে।
নোহার রহস্যজনক মৃত্যুর পরে বিচারের দাবিতে উপজেলাসদরে পোস্টারিংসহ নোহার নিজ এলাকায় মানববন্ধন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলার আলোচিত মামলা হিসেবে এই মামলাটি মনিটরিং করেন তৎকালীন পুলিশ সুপার। তবে এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যেও অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিশু নোহার পরিবার সদস্যরা।
থানা ও আদালতের একাধিক এজাহার, স্থানীয় সূত্র ও আদালতে দাখিল করা চার্জশীট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর করোনার মধ্যে সরকারের আইন অমান্য করে নোহার স্কুলের মাসিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রেণি কক্ষে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয় ৯ সেপ্টেম্বর। ওই পরীক্ষার ফলাফলে শিক্ষার্থী নোহা ৩০ মার্ক পেয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় স্কুলের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সুমন পাইক নোহাসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ক্লাশ রুমে গালমন্দ করে এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাত করে আহত করেন।