বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পরেও ক্ষমতা হস্তান্তর না করে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সরিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (নৌকা প্রতীকে বিজয়ী) আবুল বাসার খানের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন সাধারণ সদস্য (মেম্বার) সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্যানেল চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও নানা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাসার খানকে গত ১৬ জুন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাময়িক বরখাস্ত করেন। তিন দিনের মধ্যে প্যানেল চেয়ারম্যানকে তাঁর দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে এ নোটিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সাময়িক বরখাস্তের নোটিশ পেয়ে আবুল বাশার খান পরিষদের রেজুলেশন, ক্যাশবই, ব্যাংকের চেকবইসহ দাপ্তরিক কাগজপত্র নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের কক্ষ তিনি তালা দিয়ে আটকে রাখেন। স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী দাপ্তরিক কাগজপত্র প্যানেল চেয়ারম্যানকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা দিচ্ছেন না। এতে ইউনিয়ন পরিষদের সব ধরণের কাজ বন্ধ রয়েছে। অচল হয়ে পড়েছে নাগরিক সেবা। আর এতে প্রায় দুই মাস ধরে বিপাকে পড়েছে ইউনিয়নের জনসাধারণ। গত ২৩ জুন ইউপি সদস্যরা সভা করে রেজ্যুলেশনসহ দরখাস্ত সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। এর পরেও তিনি ক্ষমতা বুঝিয়ে দিচ্ছেন না।
ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করেন, সাময়িক বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান আবুল বাসার খান দায়িত্বে থাকা অবস্থায় নাগরিক সনদপত্র, ওয়ারিশ সনদ, জন্মনিবন্ধন সনদে সাক্ষর নিতে নাগরিকদের এক সপ্তাহ পর্যন্ত ঘুরতে হতো। এতে হয়রানির শিকার হতেন ইউনিয়নবাসী। আবুল বাসার খানের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যাবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তাঁর খামখেয়ালিপনার কারণে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ করা টিআর, কাবিখা ও কাবিটার চার লাখ ৪০ হাজার টাকা ফেরত যায়। এতে ইউনিয়নবাসী সরকারের এ সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়।
ইউনিয়ন পরিষদের অচলাবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার খান জানান, নোটিশের বিষয়ে আমি উচ্চ আদালতে যাবো। তাই ইউপি সদস্যদের ধৈয্য ধারণ করার জন্য বলেছি।