মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে ঝালকাঠিতে পঞ্চম জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি।
জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঈনুল হক, জেলা নির্বাচনকর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান মুন্সি, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়রম্যান খান আরিফুর রহমান। পরে নতুন ভোটারদের মাধ্যে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আমির হোসেন আমু এমপি।
এর আগে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা এডাডেমিতে গিয়ে শেষে হয়। জেলা নির্বাচন অফিস এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ভোটকে বিধ্বস্ত করতে তারা আন্দোলন করে অগ্নি সংযোগ করেছে।
হাজার হাজার গাছ কেটে রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। ৬ শত স্কুল ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ওই সব স্কুল ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো । আর আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে স্কুল ঘর নির্মাণ করি ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া শেখার জন্য। কয়েক হাজার লোক মারা হলো, কয়েক হাজার লোক অগ্নিদগ্ধ হলো। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে জায়গা ছিলো না। এই ছিল তাদের আন্দোলনের চেহারা। তিনি আরো বলেন, আমার পাকিস্তান আমর থেকে আন্দোলন করেছি। ৯৬ সালে খালেদার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি।
এক মাসে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছি। খালেদা জিয়া ক্ষমতার বাইরে আসে, সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসে।একটা লোক তো মরেনি, একটি পেট্রোলবোমা মারতে হয়নি। কোন রেলের স্লিপার তুলিনি। আমরা কোন বাস ড্রাইভারকে হত্যা করিনি। তার পরেও আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। তার কারণ আমাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা ছিলো। আর তারা আন্দোলনে জনগণের সমর্থন পায়নি। তাই তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়ে ভোট বন্ধ করতে গিয়েছিল। এখন তারা যে আন্দোলন করছে তার সাথে জনগনের কোন সম্পর্ক নেই । আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা থাকলে প্রশাসনও নিরপক্ষে হয়ে যেতো।