রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে নতুন নিয়োগ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে নতুন ৫,৫০০ শূন্য পদে কনস্টেবল নিয়োগের বিশাল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) ৫,৫০০ টি পদের মধ্যে ৪৬৭৫ জন পুরুষ ও ৮২৫ জন নারীকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা ০২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। প্রত্যেক জেলায় আলাদা আলাদা তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হবে, নিচে টেবিলে জেলাভিত্তিক পরীক্ষার সময়সূচি দেয়া আছে।
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে http://police.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কনস্টেবল পদে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন শুরুর সময়: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ সকাল ১০:০০ টা থেকে আবেদন করা যাবে।
আবেদনের শেষ সময়: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ রাত ১১:৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি অথবা সমমান পাশ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীদের উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ থাকতে হবে ২ দশমিক ৫ ।
বয়স: আবেদনের জন্য প্রার্থীদের বয়স ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ১৮ থেকে ২০ বছর হতে হবে। শুধু অবিবাহিত নারী ও পুরুষরা আবেদন করতে পারবেন।
শারীরিক যোগ্যতা: পুরুষ প্রার্থীদের জন্য উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি হতে হবে। তবে উপজাতীয় এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুরুষ প্রার্থীদের জন্য উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি হতে হবে। নারী প্রার্থীদের জন্য উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে, তবে উপজাতীয় এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নারী প্রার্থীদের জন্য উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। প্রার্থীদের ওজন উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে।
বেতন ও ভাতা: ছয় মাসের প্রশিক্ষণ চলাকালে পাওয়া যাবে পোশাক, থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসা সুবিধা। পাশাপাশি প্রশিক্ষণকালীন সময়ে প্রতি মাসে প্রশিক্ষণ ভাতা দেয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে নিয়োগপ্রাপ্তদের ২০১৫ সালের বেতন স্কেলের ১৭তম গ্রেড অনুযায়ী বেতনক্রম হবে ৯০০০-২১৮০০ টাকা।
বাছাই পরীক্ষা
শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা নেওয়া হবে প্রার্থীর নিজ জেলার পুলিশ লাইনস ময়দানে। নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হতে হবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ। চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে রাখতে হবে কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র। শারীরিক মাপ পরীক্ষায় বয়স, উচ্চতা, বুকের প্রস্থ ও ওজন ঠিক আছে কি না যাচাই করা হবে। এরপর অংশ নিতে হবে দৌড়, জাম্পিং, রোপ ক্লাইমিং, পুশ-আপ, ড্রাগিং-এ।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে জেলার পুলিশ সুপার পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র ইস্যু করবেন। একই সঙ্গে তিনি লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করে প্রার্থীদের জানিয়ে দেবেন। লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রবেশপত্র সঙ্গে আনতে হবে ।
শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে নির্দিষ্ট দিনে বসতে হবে লিখিত পরীক্ষায়। বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞানের উপর ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নির্ধারিত তারিখে মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। এতে থাকবে ১৫ নম্বর। ব্যক্তিগত পরিচিতিমূলক প্রশ্নের পাশাপাশি প্রার্থীর মানসিক দক্ষতা, মূল্যবোধ বিচারের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয় এ পরীক্ষায়।