রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুঃখজনক হচ্ছে, ইতিবাচক ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রবাসী বা অভিবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে কিছু লোক দেশের বাইরে অবস্থান করে বাংলাদেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারে লিপ্ত হন। সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা, উসকানিমূলক ও সম্পূর্ণ বানোয়াট বক্তব্য দেন। এসব কর্মকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি বা বিচারের মুখোমুখি করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে বিভিন্ন দেশ থেকে যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাচ্ছে সেসব পোস্ট নজরদারি করা হচ্ছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি জানিয়েছেন, এসব কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোর পাশাপাশি তাদের ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের নাম ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেন। স্বাগতিক দেশে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণেও তারা অনেক সময় ভূমিকা রাখতে পারেন। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, ইতিবাচক ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রবাসী বা অভিবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে কিছু লোক দেশের বাইরে অবস্থান করে বাংলাদেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারে লিপ্ত হন।
‘সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা, উসকানিমূলক ও সম্পূর্ণ বানোয়াট বক্তব্য দেন। এসব কর্মকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি বা বিচারের মুখোমুখি করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি জানান, অপপ্রচার মোকাবিলা করার জন্য এবং বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে এবং অনলাইন মিডিয়াতে নিয়মিতভাবে তথ্যবহুল সংবাদ, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ প্রকাশের বিষয়ে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নিয়মিত প্রচেষ্টা চলমান।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে অসত্য ও অপপ্রচারমূলক সংবাদ বা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগ এসব প্রতিবেদনের বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যবহুল প্রতিবাদলিপি পাঠায়, যা ওই সব গণমাধ্যমে প্রকাশ বা প্রচার করা হয়ে থাকে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের কূটনৈতিক ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্যগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন- ফেসবুক ও টুইটারের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানানোর মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে কাজ করছে।
এ ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগ এবং বিদেশের মিশনগুলো বিভিন্ন দেশের প্রচারমাধ্যমে প্রকাশিত বাংলাদেশবিষয়ক খবর বা আর্টিকেল নিয়মিতভাবে মনিটরিং করে। কোনো অসত্য ও অপপ্রচারমূলক সংবাদ প্রকাশ হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেসব প্রতিবেদনের বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যবহুল প্রতিবাদ ছাড়াও বিভিন্ন প্রকাশনা পাঠায়।
সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে এবং অনলাইন মিডিয়ায় নিয়মিত তথ্যবহুল সংবাদ, প্রবন্ধ, ফিচার, ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাচ্ছে সেসব পোস্ট নজরদারি করা হয়।’