রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বসত ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গাছপালা, আমন ক্ষেত, মাছের ঘের, পানের বরজ, কলা ক্ষেত, বিদ্যুৎ ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দমকা হাওয়া ও অভিরাম ভারি বর্ষণ ও আমবশ্যার জো‘র প্রভাবে বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়। কাঠালিয়া- আমুয়া ও রাজাপুর সড়কসহ বিভিন্নস্থানে গাছ উপড়ে পরে আভ্যান্তরীণ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে অনেক এলাকার সড়ক যোগাযোগ স¦াভাবিক হয়। এদিকে উপজেলা জুড়ে রোববার মধ্যরাত থেকে বিদুৎ সরবারাহ বন্ধ রয়েছে এবং গ্রামীণ ও টেলিটক মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধসহ অন্য অপারেটারের নেটওর্য়াক বিঘিœত হয়। গত দুইদিন ধরে উপজেলায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওর্য়াক না থাকায় অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
উপজেলার দক্ষিণ আউড়া গ্রামের নাহিদ হোসেন জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ঝড়ে আমার বসত ঘরের উপর একটি চাম্বল গাছ পড়ে ঘরটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তখন ঘরের ভিতরে আমার বৃদ্ধ মা-বাবা ও ভাইবোন ছিল। আল্লাহর অসীম রহমতে তারা বেঁচে যান।
কাঠালিয়া প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম আক্তার জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ উপড়ে পড়ে গেছে।
উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (ওজোপাটিকো) দিপক মিস্ত্রী জানান, বিভিন্নস্থানে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল। অনেক চেষ্টায় মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে উপজেলা সদরসহ অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে আশ্বাস দেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপসি আমন ৩০ হেক্টর, পানের বরজ ১৬ হেক্টর, কলা ক্ষেত ২০ হেক্টর ও সবজি ৩০ হেক্টরসহ প্রায় ২০/২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় প্রশাসনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি ছিলো। সোমবার সন্ধ্যার পূর্বেই আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আসেন। তাদেরকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপনের কাজ চলছে। সরকারি বরাদ্ধ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে বিতরণ করা হবে।