শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন

রাজাপুরে পল্লী বিদ্যুত বিভাগের অবহেলায় ঘটতে পারে প্রাণহানি

রাজাপুরে পল্লী বিদ্যুত বিভাগের অবহেলায় ঘটতে পারে প্রাণহানি

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরের সদর ইউনিয়নের বড়কৈবর্তখালি গ্রামে ঠিকাদারের স্বেচ্ছাচারিতা ও পল্লী বিদ্যুত বিভাগের অবহেলায় বিদ্যুতের খুটি হেলেপড়ায় তার ঝুলে রাস্তার ওপরে থাকায় ঘটতে পারে প্রাণহানি। আতঙ্কে আছেন পথচারী এলাকাবাসী।
ওই গ্রামের ক্লাবষ্টান থেকে ফুলহার পর্যন্ত রাস্তার কাজীবাড়ির সামনে একটি কালভার্ট নিমার্নের সময় পাশে থাকা পল্লী বিদ্যুতের খুটির গোড়ার মাটি কয়েকমাস আগে খনন করা হয়। বর্তমানে পানি ওঠায় মাটি নরম হয়ে ওই খুটিটি উত্তর দিকে হেলে পড়েছে। ফলে ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুতের তার ঝুলে পড়েছে। তারের নিচে রয়েছে ক্লাবষ্টান থেকে ফুলহার পর্যন্ত নির্মানাধীন রাস্তা ও এলাকার কৃষি ক্ষেত। তার ঝুলে এতটা নিচে রয়েছে , যাতে রাস্তা দিয়ে পথচারীর মাথার ওপরে ২/৩ ইঞ্চি ফাঁকা থাকে। যাহা খুবই ঝুকি পূর্ণ। অপরদিকে তার ঝুলে পড়ছে এলাকার কৃষি ক্ষেতে উপরে।
কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, তার ক্ষেতের পেঁপে গাছ ও কলা গাছের সাথে বিদ্যুতের তার মিশে আছে এবং প্রায় সময় ফায়ারিং করে। যে কোন সময় পেঁপে পারতে গেলে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি আতংকে আছেন। এ বিষয় রাজাপুর পল্লী বিদ্যুত অফিসে একাধিকবার অভিযোগ করলেও মেলেনি কোন প্রতিকার।
এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, ওই রাস্তা দিয়ে হাটার সময় আমরা আতংকে থাকি। যে কোন সময় প্রাণহানি ঘটতে পারে। এবিষয় পল্লীবিদ্যুত অফিস কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। পল্লীবিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টেজের ঝুলন্ত ওই ঝুকিপূর্ণ তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে কোন পথচারী হতাহতের আগে এর সমাধানের জন্য দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
এবিষয় রাজাপুর পল্লীবিদ্যুতের এজিএম মধূসুদন রায় জানান, আনুমানিক গত মার্চমাসে ওই স্থানে সরেজমিনে দেখতে গিয়েছিলাম। উপজেলা এলজিইডি অফিসকে পল্লীবিদ্যুত বরাবরে আবেদন করতে বলেছি। এলজিইডি বিভাগের কালভার্ট নিমার্নের কারনে ওই খুটি ও বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখন ওই খুটি ঠিক করতে হলে খরচের বিষয় আছে। তাই এলজিইডি প্রকৌশলী আবেদন করলে তার প্রেক্ষিতে কাজ করিয়ে তাদেরকে ভাউচার দেয়া হবে। এলজিইডি প্রকৌশলীর আবেদন ছাড়া আমরা কাজ করালে তার খরচ বহন করবে কে?
কালভার্ট ও সড়কের ঠিকাদার রাজাপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মজিবর মৃধা জানান, কালভার্ট থেকে ওই খুটি অনেক দুরে থাকায় আমরা ওই স্থানের মাটি কাটি নাই। ওই খুটির স্থানের জমির মালিকরা মাটি কেটেছে।
স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সৈয়দ সুমনসহ একাধিক এলাকাবাসী জানান, কালভার্ট নির্মানের সময় টিকাদারের শ্রমিকরাই ওই বিদ্যুতের খুটির গোড়ার মাটি কেটে নেয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

কাঠালিয়া বার্তা’য় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : মোবাইলঃ ০১৮৪২২৫৩১২২












All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana