শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠি শহরতলীর বিকনা এলাকায় ৩শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করে এখন রাস্তার কাজে বাধা দিয়ে এলাকাবাসীকে হয়রানি করছে। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে হয়রাণি করায় সেনাবাহিনী মধ্যস্থতা করে একটি সমাধান দেয়। সেই সমাধানও উপেক্ষা করে দাম্ভিকতা প্রকাশ করে বলে আমি আর্মি (সেনাবাহিনী) কেও মানি না। আমি রাস্তা দিয়েই হাটতেছি, দেখি কে কি করে? নাইম হাওলাদারের এমন আচরণে ক্ষুব্দ হয়ে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় নির্মাণাধীন রাস্তার উপরে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে। কর্মসূচীর সংবাদ পেয়ে সেনা কর্মকর্তা ফারুক’র নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন হুমায়ুন কবীর বাদল, মো. খলিলুর রহমান, মো. আব্দুস সালাম, মো. নাসির মল্লিক, মো. মোস্তফা, মো. জালাল হাওলাদার, মো. রফিকুল ইসলাম রাজিব, মো. সাব্বির, আব্দুল ওয়াহেদ, মো. কামাল হোসেনসহ এলাকার বিপুল সংখ্যক লোকজন।
দুপুর ১২টার দিকে ঝালকাঠি সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন শাহিদও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অবস্থান কর্মসূচী পালনকালে লিখিত বক্তব্যে স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার বাসন্ডা এলাকার মো. নাইম হাওলাদার সুরেশ কোম্পানিতে তেল বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকুরী করে। সে মাসিক ২৭হাজার ৫শ টাকা বেতন পান। এলাকার মানুষের সাথে অসাদাচরণ, প্রতারণা ও হয়রানি করায় সেখানে বসবাস করতে না পেরে বিকনা এলাকায় ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে। ক্রয়কৃত পুরো সম্পত্তির উপরেই ৩তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এই বাসার উচ্ছিষ্টাংশ ও ছাদের পানি প্রতিনিয়তই প্রতিবেশিদের ক্ষতি সাধন করে। বর্তমানে তার চাকুরীতে বেতন পান ২৭ হাজার ৫ শত টাকা। সেই টাকা দিয়ে বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী সংসার সামলিয়ে কিভাবে তিন তলা ভবন নির্মান করা সম্ভব তা আদৌ আমাদের কারো বোধগম্য না। এলাকাবাসীর অতিপ্রয়োজনে এলজিইডির আরসিসি রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করলেই তার জমির ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিপূরণ বাবদ একলাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তার দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় সেনাবাহিনী, পুলিশ জেলা প্রশাসন ও আইন উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা, রানোয়াট, মনগড়া, ভিত্তিহীন তথ্য সম্বলিত অভিযোগ দিয়ে হযরানি করে।
নাইম হাওলাদারের বাসায় কালো গ্লাসের হায়েস গাড়িতে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষের যাতায়াত প্রায়ই এলাকাবাসীর নজরে পড়ে। যাতায়াতকারী কারা? তা একজনে জিজ্ঞাসা করলে তাকে নিজ স্ত্রীকে দিয়ে ধর্ষণ মামলার আসামী করার হুমকি দেয়ায় কেউ কথা বলার সাহস পায় না।
“নাইমের আয়ের উৎস্য? ভবন নির্মানের অর্থ যোগানের উপায়? কালো গ্লাসের হায়েস গাড়িতে তার বাসায় কারা আসেন ? কি তাদের পরিচয়? নাইমের এতো ক্ষমতা প্রদর্শনের খুটির জোর কোথায়?” এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিটক তদন্তপুর্বক আইনানুগ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবী জানান বিকনা এলাকার ভুক্তভোগীরা।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, নাইম হাওলাদার পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছেও অভিযোগ দিয়েছেন। আমার কাছেও বেশ কয়েকবার এসেছেন। উভয় পক্ষকে ডেকেছি, আলোচনার মাধ্যমে একটা সুষ্ঠু সমাধান দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।