রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন
আগামীকাল রোববার থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ সূচি চলবে। শনিবার জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ কথা বলেছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি ও কারফিউ জারির কারণে রোববার থেকে মঙ্গলবার (২১-২৩ জুলাই) সরকারি-বেসরকারি অফিসে ছিল সাধারণ ছুটি। এর আগের দু’দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। সে হিসাবে টানা পাঁচ দিন পর বুধবার (২৪ জুলাই) আংশিকভাবে খোলে সরকারি অফিস। গত ২৪ ও ২৫ জুলাই বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, সরকার বুধ ও বৃহস্পতিবার সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে।
এদিকে, অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হলেও সারাদেশে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকার থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
তবে জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস ও বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাকসেবা এবং এ-সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবেন। এ ছাড়া হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এই সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী, চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবেন।
জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলো এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে, যা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে। এর মানে হলো জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস ও কর্মীরা তাঁদের প্রয়োজন অনুযায়ী চলবেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে সরকার শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ধীরে ধীরে বাড়ছে কারফিউ শিথিলের সময়সীমা।