শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ অপরাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের দুই গ্রামের অর্ধশত বাসিন্দাদের গোসল করার একমাত্র পুকুরটি দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানা দখল করে রাখায় ভোগান্তিতে ছিল দুই গ্রামবাসী। পুকুরটির পানি গ্রামের লোকজনের গোসল, ওজু ও মহিলারা তাদের গৃহস্থালির বিভিন্ন প্রয়োজন ব্যবহার করে আসছিলো। চৈত্রের তাপদাহ ও প্রচন্ড রোদের কারণে অর্ভনীয় দূর্ভোগে পড়েন স্থানীয়রা। ঠিক সেই মূহূর্তে স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল হক জমাদ্দার চান মিয়ার ছেলে মো. মইনুল হোসেন উজ্জল নিজ উদ্যোগে পুকুরের কচুরিপনা পরিষ্কার করে গ্রামবাসীর ব্যবহারের উপযোগী করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এছাড়া তিনি করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে থেকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। নিজেস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
এলাকাবাসী জানান, উজ্জল ভাই আমার বাড়ি আমার খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে চাকরি করে অবসর সময়ে গ্রামের মানুষের পাশে থাকেন। আমাদের সুখে-দুঃখে সব সময় তাকে পাশে পাই। তিনি করোনা কালে অনেক অসহায় মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চাল, ডাল, চিনি, তৈল, আলু, পিয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, ঔষধ ও বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়েও পৌছে দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় সাঁকো ও রাস্তাঘাট নিজ উদ্যোগে মেরামত করে এলাকাবাসীর উপকার করেন। কয়েকদিন ধরে নিজের কাজের ফাঁকে গ্রামের পুকুরের কচুরিপনা পরিষ্কার করে গ্রামবাসীর অনেক বড় উপকার করেছেন।
মইনুল হোসেন উজ্জল বলেন, আমি মানুষের জন্য কাজ করতে পছন্দ করি। এলাকার অসহায় মানুষের উপকারে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এলাকার মানুষের পানির সুবিধার জন্য নিজের প্রচেষ্টায় প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়ে অফিসে যাওয়ার আগে দুই ঘন্টা ও অফিস বন্ধের দিনে পুরো সময় দিয়ে কয়েক দিনে পুকুরটির কচুরিপানা পরিষ্কার করে লোকজনের ব্যবহার উপযোগী করতে সক্ষম হয়েছি।