সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন।
ঝালকাঠিতে সকাল থেকে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। কখনো হালকা ও মাঝারি ধরণের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরই মধ্যে জেলা তথ্য অফিস থেকে মাইকিং করে নদী তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদে থাকার জন্য শতর্ক করা হচ্ছে। বৃষ্টি এবং বৈরি আবহাওয়ায় শ্রমজীবী এবং নদী তীরের বাসিন্দারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। সাত নম্বর বিপদ সংকেতের খবর শুনে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। কেউ আবার আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। নদীর পানিতে বসতঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। ঘর-বাড়ি ও মালামাল ফেলে অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছেন না। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন কেউ আবার।
ফসলের ক্ষেত ও মাছের ঘের রক্ষায় ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন জেলার বাসিন্দারা। এদিকে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি সাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। জেলার চার উপজেলায় রোপা আমন নতুন করে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে কৃষকরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ঝালকাঠিতে ৭টি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে, ৫৯ সাইক্লোন সেল্টার, ৩৭ টি মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসের ৩ টি উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রয়েছে।
এছাড়া নগদ ৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ৩৫০ মেট্রিক টন ত্রানের চাল বিতরণের জন্য মজুদ আছে। পাশাপাশি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও স্বেচ্ছাসেবক টিমও পস্তুত রয়েছে। সভায় পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।