সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
বামনা ( বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনার পাথরঘাটায় অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে হাসিবুল ইসলাম (১৪) নামের এক কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। গত শুক্রবার হাসিবুলকে অপহরণ করে কিশোর গ্যাং লিডার আবদুল্লাহ আল নোমান। পরে গত শনিবার ২১ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখ বিকালে হাসিবুলকে নির্যাতনের ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। মুক্তিপণ দিতে অস্বীকার করলে গলায় ফাঁস দিয়ে হাসিবুলকে হত্যা করে বিষখালি নদীর বেড়িবাঁধের পাশে লাশ ফেলে রেখে যায় ঘাতক।
রোববার ২২ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখ গভীর রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও পাথরঘাটা থানা পুলিশ উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের শিংড়াবুনিয়া এলাকার বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধের পাশ থেকে হাসিবুলের লাশ উদ্ধার করে।
হাসিবুলের বাবা শফিকুল ইসলাম জানান, অপহরণকারী টাকা চাইলে আমি সময় চাই। এখন শুনি আমার একমাত্র ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে।
বরগুনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোজাম্মেল হোসেন রেজা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় হাসিবুলের বাবার করা সাধারণ ডায়রির (জিডি) পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব, পুলিশ ও ডিবি অনুসন্ধান চালায়। তবে বারবার স্থান পরিবর্তন ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করায় ঘাতক নোমানকে আটক করতে বেগ পোহাতে হয়।
আরও পড়ুন : প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ : ঝালকাঠিসহ পাশ্ববর্তী জেলাসমূহে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত
নোমানসহ আরও ৯ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে নোমানকে আটকের আগে হাসিবুলকে খুনের আলামত জব্দ করা হয়। রোববার গভীর রাতে শ্বশুরবাড়ী থেকে নোমানকে আটক করা হয়। নোমানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হাসিবুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
হাসিবুলের বাড়ি পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরঘাটা গ্রামে। সে পাথরঘাটা সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার জানান, নোমানসহ তার বাবা মহিউদ্দিন, শ্বশুর ইউনুস, স্ত্রী তাহিরা, শাশুড়ি রহিমা, সম্বন্ধি আব্দুর রহমান, স্থানীয় জসিমসহ নয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নোমানের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
র্যাব-৮ কোম্পানি কমান্ডার মেজর সোহেল জানান, অপহৃত হাসিবুলকে জীবিত উদ্ধার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।