মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
মোঃ ফোরকান:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার দাউদখালী ইউনিয়নে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অসুস্থ দুদা মিয়া ও রেজবি বেগম দম্পতি।
হঠাৎ দেখলে মনে হবে কোন গোয়ালঘর কিংবা পাকের ঘর চারপাশটা পলিথিন দিয়ে মোড়ানো উপরের ছেড়া পলিথিন একটু বর্ষা হলেই ফোটায় ফোটায় পানি পড়ে ঘরের মেঝো স্যাঁতসাঁতে হয়ে যায় ।স্ত্রী ও ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে জরাজীর্ণ একটি পলিথওনের ছাপড়ায় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাদের।অসুস্থ শরীরে সংসারে লাগামহীন নানা বোঝা টানতে টানতে এখন ক্লান্ত, সময়ের পরিক্রমায় হয়ে পড়েন অক্ষম, শক্তিহীন এই দম্পতি।তার বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের দেবত্র গ্রামে। মৃত তুজাহার আলী হাওলাদারের ছেলে দুদা মিয়া(৫৫) ও রেজবি বেগম (৪৮) দম্পতি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় প্রায় দু বছর যাবত এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে অসহায় জীবনযাবন করছেন তারা।এর আগে দুদা মিয়ার শুশুর বাড়ি বামনা উপজেলায় বসবাস করতেন এই দম্পতি।শ্বশুরবাড়িতে ঘর জামাই থাকতেন সেখানে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত গরুর ব্যবসা করতেন। ভালোই চলছিল দুদা মিয়ার সংসার। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হওয়ায় লাগামহীন নানা বোঝা টানতে টানতে ক্লান্ত এখন অসুস্থ শরীরে ওষুধ খেতে ধুম।
স্ত্রী রেজবি বেগম অশ্রুশিক্ত চোখে বলেন,বাবার অবস্থা তেমন ভালো না এতদিন আমার স্বামী সুস্থ ছিল প্রতিদিন যে আয় করতো তাতেই আমাদের সংসার চলত এখন সে আর রোজগার করতে পারে না বাবার বাড়ি থাকি বলে প্রতিবেশীদের নানান কথা শুনতে শুনতে এখন আর ভালো লাগেনা।তাই আমার শ্বশুরবাড়ি চলে আসছি। আমার বড় মেয়ে মেয়ে উর্মি আক্তার দাউদখালী শহীদ বাচ্চু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেনীতে পড়ে।শুনেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেককে ঘর দেয় বাড়ি দেয় আমাগো যদি একটা ঘর করিয়ে দিতো ছেলে মেয়ে নিয়ে অন্তত বৃষ্টিতে ভিজতে হতো না
রবিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,প্রচন্ড গরমে পলিথিনে মোড়ানো ছাপরার ভিতরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
স্থানীয়রা জানায়, অসহায় ওই দম্পতির ভাল একটি ঘর নেই। থাকেন পলিথিনের ছাপরায়। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ওই দম্পতির জন্য একটি সরকারি ঘর পাওয়া উচিৎ বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উর্মি ভৌমিকে একাধিকবার মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।