সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশালে কাঁচা মরিচের ঝাল রসগোল্লা ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলছে। বাজারে নতুন এই মিস্টির আবির্ভাব সৃষ্টিকারী নগরীর সদররোডের সকাল-সন্ধ্যা মিষ্টান্ন ভান্ডার।
বাজারে সাধারণত ক্রেতারা কিনে থাকেন সরমালাই, ক্ষিরমালাই, রসমালাই, পেষ্টিমালাই, গাজরের হালুয়া, স্পেশাল চমচম, ক্ষির কালাজাম, ক্ষির চমচম, কমলাভোগসহ বিভিন্ন নামের মিস্টি। তবে ক্রেতাদের মাঝে সকাল সন্ধ্যা মিষ্টান্ন ভান্ডারের পরিচালক বিশ্বজিৎ ঘোষ বিশু এই কাঁচা মরিচ সংমিশ্রিত রসগোল্লা নগরীতে বাজারজাত করে একরকম আলোড়ন সৃষ্টি করে।
যারা একবার এই রসগোল্লার স্বাদ নিয়েছেন তাদের মুখ থেকে সংবাদটি প্রচারিত হওয়ার পর থেকে নতুন এই কাঁচাঝাল (মরিচ) রসগোলার স্বাদ নেয়ার জন্য সকাল-সন্ধা মিষ্টির দোকানে বিভিন্নস্থান থেকে ক্রেতারা ভিড় জমাতে শুরু করেন।
দোকানের পিছনে রসগোল্লার তৈরির প্রস্তুতি কাজ করছেন রসগোল্লার কারিগররা। অন্যদিকে ক্রেতারা নতুন এই রসগোলা ক্রয় করার জন্য কারও কারও সামনে ও দোকানে অর্ডার দিয়ে গরম গরম রসগোলা নিয়ে যাবার জন্য অপেক্ষা করতেও দেখা যায়।
এ সময় কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন পরিক্ষামূলক বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে এই রসগোলার স্বাদ গ্রহণ করে বেশ ভালোই লেগেছে। তারা বলেন এমনিতেই আমরা সবসময় মিষ্টি খেয়ে থাকি, তার মধ্যে ছানা দিয়ে তৈরি এই রসগোল্লারটি ছানার পাশাপাশি কাঁচা মরিচের ঝাল দিয়ে তৈরি করার কারনে নতুন একটি স্বাদ এসেছে।
এ বিষয়ে সকাল-সন্ধ্যা মিষ্টান্ন ভান্ডারের পরিচালক বিশ্বজিৎ ঘোষ বিষু বলেন, ‘কাঁচা ঝাল দ্বারা তৈরি রসগোলাটি দেশে একমাত্র কুমিল্লায় প্রথম তৈরি হয়। সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমিই প্রথম বরিশালে তৈরি করে বাজারে ছাড়ার পর নগরীতে বেশ সাড়া পড়ে গেছে। তিনি বলেন প্রতিটি মানুষকে চিকিৎসকরা সবসময় প্রতিদিন ২ থেকে ৩টি কাঁচা মরিচ খাওয়ার জন্য হার্টের রোগিদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এখানে অনেকেরই কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস নাই। তাই এই রসগোল্লার মধ্যে কাঁচা মরিচের স্বাদ আনার চেষ্টা করছি ক্রেতাদের জন্য।
তিনি আরও বলেন, এই রসগোল্লা তৈরিতে খাটি ছানা ও সুগারের পাশাপাশি ভেলেন্ডার দ্বারা কাঁচা মরিচ মিশ্রিত করা হয়। পরবর্তীতে ইলেকট্রিক্যাল মেশিনের মাধ্যমে পরিপ‚র্ণ রসগোল্লা তৈরি করা হয়। প্রথম দিনেই তার ৩০ কেজি মিষ্টি বিক্রি হয়েছে। যা অন্য নামি-দামী মিষ্টি থেকেও বেশি।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লার রেলিশ বেকারিতে প্রথম ঝাল রসগোল্লা তৈরি করা হয়। ওই বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হয়। এরপর নেত্রকোণায় বালিশ মিষ্টির পাশাপাশি ঝড় তোলে সবুজ রঙের টক-ঝাল মিষ্টি রসগোল্লা।নেত্রকোণা পৌর শহরে আরামভাগ রোডে দুর্গা কেবিন নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই কাঁচা মরিচের গোল্লা তৈরি করে মানুষের নজর কাড়ে। তাদের দেখাদেখি পটুয়াখালীর গলাচিপায় সবুজ রঙের ঝাল রসগোল্লা তৈরি করে নিপু মিষ্টান্ন ভান্ডার। এদের দেখাদেখা এবার বরিশাল নগরীর বিষু ঘোষ তৈরি করলেন কাঁচা মরিচের গোল্লা।