বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন

ফেরিতে মানুষের চাপ, নেই গাড়ির জায়গা

ফেরিতে মানুষের চাপ, নেই গাড়ির জায়গা

অনলাইন ডেস্ক:

আজ শুক্রবার নাড়ির টানে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন ঈদ করতে। সেহরি খেয়ে ঢাকা থেকে রওনা দেন। শিমুলিয়া পৌঁছার আগে কোনো ঝামেলা না হলেও ফেরিঘাটে এসে পড়েন চরম বিড়ম্বনায়।

অনেকেই প্রাইভেট পরিবহনে চড়ে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে পৌঁছেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই। ঢাকার ওষুধ ব্যবসায়ী আকতারুজ্জামান খান। সকাল সাড়ে ৭টা বা ৮টার সময়ই পৌঁছেন শিমুলিয়া ঘাটে।

কিন্তু কোনোভাবেই ফেরিতে গাড়ি উঠাতে পারেননি। যাবেন মাদারীপুরের শিবচরে। অবশেষে গাড়ি ওপারে চালকের কাছে রেখেই চলে আসতে হলো পরিবার পরিজন নিয়ে।

আকতারুজ্জামান খান জানান, লকডাউনের কারণে পদ্মায় চলাচলকারী লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ। তাই ফেরিতে যাত্রী চাপ অনেক বেশি। ফেরিতে গাড়ি উঠানোর জন্য দুপুর ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। যাত্রীদের জন্য কোনোভাবেই গাড়ি ফেরিতে উঠানো সম্ভব হলো না। আমার দেড় মাসের বাচ্চাসহ অবশেষে ফেরিতে চড়ে আসতে হলো। ফেরির মধ্যে একে অপরের শরীরের সাথে দাঁড়িয়ে আসতে হলো। প্রায় দেড় হাজার মানুষ ওই ফেরিতে পার হয়েছেন। মানুষের জন্য কোনোভাবেই ফেরিতে গাড়ি উঠানো সম্ভব হয়নি। তাই গাড়ি চালকের কাছে রেখে আসতে বাধ্য হলাম।

মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে শুক্রবার সকাল থেকে হঠাৎ করেই ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ঈদের বাকি আরও এক সপ্তাহ থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঘরমুখো যাত্রা শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে। শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে শিমুলিয়া থেকে রো-রো ফেরি এনায়েতপুরী শুধুমাত্র যাত্রী নিয়েই শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে ভিড়ে।

এ সময় ফেরিতে কোনো গাড়ি ছিল না। ফেরিঘাট সূত্র জানা গেছে, যাত্রীদের চাপের কারণেই শিমুলিয়া থেকে ফেরিটিতে কোনো গাড়ি উঠতে পারেনি। ফেরিটিতে ১২শ’ যাত্রী ছিল বলে ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের চাপ রয়েছে। হাজার হাজার যাত্রী ঈদের আগেভাগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। নৌরুটে রো-রোসহ ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। তবে যাত্রীদের সংখ্যা বেশি থাকায় ফেরিতে গাড়ি অপেক্ষাকৃত কম পার হচ্ছে। ফেরিতে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা থেকে শুরু করে যাত্রীদের বসার জায়গাসহ সর্বত্র ছিল উপচেপড়া ভিড়।

বরিশালের যাত্রী নাদিরা আক্তার বলেন, ঈদের আগমুহূর্তে যাত্রীদের আরও ভিড় বেড়ে যায়। বাস চলে না। ভেঙে ভেঙে বাড়ি যেতে হবে। তাই কয়েক দিন আগেই বাড়ি যাচ্ছি।

বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীদের পারাপারের জন্য ফেরির বিকল্প কোনো নৌযান না থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের প্রচুর চাপ রয়েছে। ঘাটে ফেরি ভিড়লেই যাত্রী উঠে যাচ্ছেন। এতে গাড়ি উঠতে পারছে না ফেরিতে। বাধ্য হয়েই শুধু যাত্রীদের নিয়ে ফেরি চলাচল করছে।

এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দূরপাল্লার যাত্রীরা শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে বিপাকে পড়ছেন। মাইক্রোবাস, থ্রি-হুইলার আর মোটরসাইকেলযোগে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়িফেরা যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেশি। দীর্ঘপথ তাদের কয়েক দফা গাড়ি পাল্টে যেতে হচ্ছে। আর গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

বাংলাবাজার ঘাটের ম্যানেজার সালাউদ্দিন জানান, শিমুলিয়া প্রান্ত থেকে কোনোভাবেই পরিবহন নিয়ে ফেরি আসতে পারছে না। ফেরিঘাটে নোঙর করার সাথে সাথে মানুষ উঠে যায়। আর কোনো ধরনের গাড়ি ফেরিতে উঠানো সম্ভব হয় না।

 

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




Archive Calendar

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  




All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana