সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
২০১৯সালের জুন মাসের সর্বশেষ জরিপের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঝালকাঠি জেলার ৪উপজেলায় ” জমিও নেই, ঘরও নেই” এমন জনসংখ্যা রয়েছে ১২২১জন। এদের মধ্যে ঘর বরাদ্ধ পেয়েছেন ৪৭৪জন। যার মধ্যে ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে ২৩০টি। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের জন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। আগামী ২৩ জানুয়ারী সারাদেশে একযোগে তিনি ঝালকাঠি জেলার ২৩০টিসহ ২লাখ ৯৩হাজার ৩৬১টি ঘর উদ্বোধন করবেন। বিশে প্রথম গৃহ ও ভূমিহীনদের জন্য এতোগুলো ঘর একত্রে দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালেেয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী এসব তথ্য জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম ফরিদ উদ্দিন, রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আহমেদ হাসান, সহকারী কমিশনার মাছুমা আক্তার, আবু মুছাসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী আরো জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পকে ৩টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। জমি ও গৃহহীনদের জন্য “ক”, জমি আছে ঘর নাই “খ” এবং অসহায় দরিদ্রদের জন্য “গ” শেণি। ঝালকাঠি জেলায় ২০১৯ সালের জুন মাসে হালনাগাদ তথ্যে ১২২১জন জমি ও গৃহহীনদের “ক” তালিকাভুক্ত রয়েছেন। যাদের মধ্য ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪৭৪জনকে। ইতিমধ্যে ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে ২৩০টি। প্রতিটি ঘর ১লাখ ৭১হাজার বরাদ্দ ব্যয়ে নির্মান করা হয়েছে। এরমধ্যে উদ্বোধনের অপেক্ষায় ঘর রয়েছে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম-বিনয়কাঠি ইউনিয়নে ২০ এবং বাসন্ডা ইউনিয়নের কুনিহারি আশ্রয়ন-২ প্রকল্পে ৪৫টি, নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নে ৪০টি, রাজাপুর উপজেলার গালুয়া, মঠবাড়িয়া ও সাতুরিয়া ইউনিয়নে ৭৫টি এবং কাঠালিয়া উপজেলার আমুয়া, কাঠালিয়া ও শৌলজালিয়া ইউনিয়নে ৫০টি। স্ব স্ব উপজেলায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২৩ জানুয়ারী সকাল ১০টায় একযোগে উদ্বোধন করবেন।
তিনি আরো জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের সুপেয় পানির জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরে দ্রæত বিদ্যুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পল্লী বিদ্যুত সমিতির নির্বাহী প্রকৌশলীকেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যাতে ঘর উদ্বোধনের পরপরই সুবিধাভোগীরা যথাযথ সুবিধা ভোগ করতে পারেন।