শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন

কাঠালিয়ায় প্রশিক্ষণার্থীদের আত্মসাৎতের টাকা ফেরৎ দিলেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা

কাঠালিয়ায় প্রশিক্ষণার্থীদের আত্মসাৎতের টাকা ফেরৎ দিলেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা

বার্তা ডেস্ক:

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাছরীন আক্তার আইজিএ প্রকল্পের প্রশিক্ষণার্থীদের যাতায়াত ভাতার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরে গোয়েন্দা সংস্থার এক সদসস্যের হস্তক্ষেপে আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরৎ দিতে বাধ্য হন ওই কর্মকার্ত। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বৃহস্পতিবার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আইজিএ প্রকল্পের ফ্যাশন ডিজাইন ও বিউটিফেকেশন কর্মসূচির আওতায় ৫০জন প্রশিক্ষণার্থীর যাতায়াত ভাতা প্রদান করা হয়। এসময় যাতায়াত ভাতা বাবদ জনপ্রতি ৬হাজার টাকা দেয়ার কথা থাকলেও প্রশিক্ষনার্থীদেরকে দেয়া হয় ২হাজার থেকে ৩হাজার টাকা। অবশিষ্ট টাকা ওই কর্মকর্তা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ প্রশিক্ষণার্থীদের।

লিমা, মিমিয়া ও খাদিজা বেগমসহ একাধিক বিউটিফিকেশনের প্রশিক্ষণার্থী জানান, নাসরীন ম্যাডাম আমাদের কাউকে ২ হাজার ৫শত টাকা আবার কাউকে ৩ হাজার টাকা দেন। কিন্তু আমাদের সকলের কাছ থেকে আগেই ৬হাজার টাকার চেকে স্বাক্ষর নেয়া হয়। আমরা এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনার কারণে সরকার টাকা অর্ধেক দিয়েছেন, তাই তোমাদেরকে টাকা কম দিয়েছি। কিন্তু প্রশিক্ষণ নিতে আমাদের যাতায়াতে অটো ভাড়া খরচ হয়েছে প্রায় ৪ হাজার টাকা। করোনাকালীন সময় উনি আমাদের গরীবদের টাকা মেরে প্রাইভেট কার রির্জাভ করে ঝালকাঠি থেকে কাঠালিয়া আসেন।

এছাড়া ফ্যাশন ডিজাইন টেড্রের লাইজু ও সম্পা আক্তার জানান, আমাদের প্রত্যেকের নামে একাউন্ট রয়েছে। সেই একাউন্টে ৬ হাজার টাকা সরকার জমা করেছেন। টাকা উত্তোলণের জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস সহকারী হোসনেয়ারা আপা আগেই ৬হাজার টাকার চেকে আমাদের স্বাক্ষর নিয়েছেন। অথচ টাকা দেন কম।

টাকা কম দিয়ে আত্মসাৎ করায় ভূক্তভোগী প্রশিক্ষণার্থী ও কর্মকর্তার সাথে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এসময় গোয়েন্দা সংস্থার এক সদসস্যের হস্তক্ষেপে অবশেষে আত্মসাৎকৃত সমূদয় টাকা প্রশিক্ষণার্থীদের ফেরৎ দেন কর্মকর্তা নাছরীন আক্তার।

এ বিষয় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাছরীন আক্তার বলেন, যারা সব কয়দিন ক্লাস করেননি তাদের ভাতার টাকা কাটা হয়েছিলো। কিন্তু আমার অফিস সহকারী হোসনেয়ারা চেকে ৬হাজার টাকা লিখেছেন, আমি সেটা জানতাম না। তবে বিষয়টি অন্যায় হয়েছে। পরে কর্তনকৃত টাকা ফেরৎ দেয়া হয়েছে।

তবে অফিস সহকারী হোসনেয়ারা বেগম জানান, চেকে স্বাক্ষর নিয়েছেন যারা প্রশিক্ষক ছিলেন তারা। আমি কোন চেকে স্বাক্ষর নেইনি।

উল্লেখ্য যে, নাছরীন আক্তার গত ৩০ মার্চ ২০২১ কাঠালিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অতিরিক্ত কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana