সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় প্রান্তিক কৃষক মো. জালাল ফকির চার একর জমি বন্ধকি নিয়ে উন্নত জাতের সবরি কলা কলা গাছ আবাদ করেন।
ওই জমিতে পাঁচ হাজার কলা চারা রোপন করেন তিনি। শতকরা ৮০ ভাগ গাছে ফলন ধরে।
এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার দিনবর অবিরাম বৃষ্টি ও ঘুর্ণিঝড় মিধিলির তান্ডবে ক্ষেতের ১৩শ কলাগাছ সম্পুর্ন ভেঙ্গে যায়।
এতে ওই কৃষক পথে বসে যায়। এদিকে ব্যাংকের ঋণ অন্যদিকে কলা আবাদের খরচ নিয়ে এখন বিপাকে পরেছেন কৃষক জালাল ফকির।
ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষক জালাল ফকির জানান, এ বছর বৈশাখ কলা গাছের চারা রোপন করেন ক্ষেতে। পরিচর্যা, শ্রমিক খরচ ও চারা কিনে লাগাতে ৮লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান কৃষক। ৮০ ভাগ গাছে ফলন ধরেছে। এ অবস্থায় বন্যায় ফলন্ত ১৩শ কলাগাছ ভেঙ্গে গেছে। লাভের আশা এখন দুরাশা। দুচিন্তায় ওই কৃষকের নাওয়া খাওয়া অনেকটা বন্ধ। এতে ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী কৃষক জালালের।
দক্ষিন চেঁচরী হারেচিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জাকির হোসাইন জানান, জালাল ফকির একজন ভালো কৃষক। জমি বন্ধক নিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ এনে লাভের আশায় কলার চাষ করেন। বন্যায় কলাগাছ ভেঙ্গে যাওয়ায় কৃষক জালাল এখন কিভাবে ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে। তাই নিয়ে চিন্তার শেষ নেই কৃষক জালালের।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ ইমরান বিন ইসলাম জানান, ৫শত হেক্টর জমির কলাবাগান, ৭শ হেক্টর জমির খেশারী, ৫শ হেক্টর জমির উপসী আমন, ২শ হেক্টর দুধ কলম এবং ৫শত হেক্টর জমির শাক-সবজি মিধিলির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন : ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র আঘাতে বিষখালী নদীর তীরের বেরিবাঁধ বিধ্বস্ত