বার্তা ডেস্ক:

ঝালকাঠির কাঠালিয়ার পূর্ব পাটিখালঘাটা গ্রামে দুর্বৃত্তদের রামদার এ্যলোপাথারী কোপে ইউপি সদস্যের মা হাসিনা বেগম (৫০) নিহত এবং বাবা মোঃ জালাল জমাদ্দার গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ইউপি সদস্যের পিতা জালাল জমাদ্দারকে প্রথমে কাঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে(আমুয়া) এবং পরে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের পূর্ব পাটিখালঘাটা গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ রিপন জমাদ্দারের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ১৪/১৫ জনের দুর্বৃত্তদের একটি দল সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে ইউপি সদস্য রিপনের ঘুমান্ত মা হাসিনা বেগম ও পিতা জালাল জমাদ্দারকে রামদা দিয়ে এ্যলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় হাসিনা বেগমের বাম হাতের কবজি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এবং জালাল জমাদ্দারকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে কাঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে (আমুয়া) ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

ইউপি সদস্য রিপন জমাদ্দার জানান, আমার প্রতিপক্ষরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সিঁদ কেটে ঘরে ঢোকে। আমি রাতে অন্য বাড়ীতে থাকায় সন্ত্রাশীরা আমাকে না পেয়ে মাকে হত্যা করে এবং বাবাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

শুক্রবার সকালে কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায়সহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পৌছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে থানায় নিয়ে আসেন। ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কাঠালিয়া-রাজাপুর সার্কেল) মোঃ মাসুদ রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ বিষয় কাঠালিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান, সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছাই এবং ঘরের ভেতর হাসিনা বেগমের লাশ রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখি। তার স্বামী জালাল জমাদ্দারকে আমুয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো হয়। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসি। এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি, তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।