সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে মুক্তিপেয়ে বাদীর বসতঘর সীমানা বেরা ভাংচুর ও শতাধিক মুরগী মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়াগেছে। এ ঘটনায় আজ রোববার ভুক্তভোগী বজলুর রহমান হাওলাদার বাদী হয়ে দশজনকে আসামী করে থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন। গত শনিবার (২৪) মে দুপুরে উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের মধ্য কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, জমিজমার বিরোধে গত ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর বুধবার সকালে বজলুর রহমানের স্ত্রী তাজনেহার বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করে একই বাড়ীর কামরুল ইসলাম, জাকির হোসেন, জহিরুল ইসলামসহ তাদের লোকজন। এ ঘটনার পরের দিন ১২ অক্টোবর নিহত তাজনেহারের ছেলে আরিফ বিল্লাহ বাদী হয়ে কামরুলসহ ৮জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর ২নং আসামী জাকির হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করে। মামলার তিনমাস পর প্রধান আসামী কামরুল ও তিন নারীসহ ৬ আসামী কোর্টে হাজির হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। তিন মাস পরে নারী আসামীরা জামিনে মুক্তহন।
এ বছরের জানুয়ারী মাসে জাকির ও জহিরুল জামিনে বের হয়। একমাস পর ফের্রুয়ারী মাসে কামরুলেরও জামিন হয়। ৫নং আসামী জব্বার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে। পুলিশ দীর্ঘ তদন্তের পর ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে কোর্টে চার্জসিট (সিএস) দাখিল করেন। আসামীরা জামিনে মুক্ত হবার পর বাদীর পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। এ ঘটনায় বজলুর রহমান বাদী হয়ে কামরুলসহ ৪ আসামীর বিরুদ্ধে এ বছরের ৯ ফের্রুয়ারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। পরে গত শনিবার (২৪ মে) দুপুরে আসামীরা বাদীর বসতঘর সীমানা বেরা ভাংচুর করে, গাছপালা কেটে ও ১শ ৫০টি মুরগীর বাচ্চা মেরে ফেলে।
অভিযোগ অস্বীকার করে কামরুল ইসলাম বলেন, বজলুর রহমান ও তাদের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। এখন মামলা সাজানোর জন্য এ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
থানার ওসি হারান চন্দ্র পাল (তদন্ত) জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।