বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ অপরাহ্ন
রাজাপুর প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সোনারগাও (আরোয়া) হাছানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আ: ছালাম সিকদারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, কমিটি বিহীন নিয়োগ সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আঃ হাকিম সিকদার বাদী হয়ে বাংলাদেশ মাদ্রসা শিক্ষা বোর্ড এর মহাপরিচালক সহ স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা যায়, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর গত পহেলা জানুয়ারী ১৯৮৫ সালে স্থানীয় সোয়াইব হোসেন নামে এক ব্যক্তি জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে অত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পরে তাহার ৮/৯ বছর চাকুরী ছিল না। সে ভুয়া ভাবে পুরানো ইনডেক্স ০৭৬৫৭৩ এবং অত্র মাদ্রাসায় ভারপ্রাপ্ত সাজিয়া বর্তমান সুপার আঃ ছালাম সিকদারকে ১৯ এপ্রিল ২০১২ সালে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে নিয়োগ দেন। প্রতিষ্ঠানটিতে পহেলা জানুয়ারী ২০০০ হতে ৬ অক্টোবর ২০০৯ পর্যন্ত কোন কমিটি ছিলো না। অথচ প্রতিষ্ঠানটিতে তখন ২জন শিক্ষক অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদান করেন। ৭ এপ্রিল ২০১০ থেকে ৭ জানুয়ারী ২০১২ মাদ্রসার শিক্ষাবোর্ড কোন কমিটি অনুমোদন দেননি। এরপরে ২ বছরের জন্য কমিটি অনুমোদন দিলেও পরবর্তীতে ৮ জানুয়ারী ২০১৪ থেকে ৩০ আগষ্ট ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত কোন কমিটি অনুমোদন দেননি। এছাড়াও সুপার আঃ ছালাম সিকদার তার ভাই মোঃ আবুল কালাম কে সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র মৌলভী পদে অত্র মাদ্রাসায় ভুয়া নিয়োগ প্রদান করেন।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয় খলিলুর রহমান সিকদার, জাহিদুল ইসলাম মোল্লা, রাজিব খান, আঃ মতিন সিকদার ও মারুফ সিকদারসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, মাদাসার সুপার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সময়ে পরিচালনা কমিটি না থাকা সত্ত্বেও ভুয়া কমিটি দেখিয়ে বেতন উত্তোলন ও নিয়োগ প্রদান করে আসছেন। এছাড়াও এলাকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাদ্রাসাটিতে কখন যে নিয়োগ টিয়োগ হয় তাও জানেন না এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসার সুপার আঃ ছালাম সিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, “মাদ্রাসাটির বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন যাহা বিভিন্ন সাংবাদিকরা লিখেছেন, অনেকবার তদন্তও হয়েছে বর্তমানেও ইউএনও অফিসে তদন্তনাধীন রয়েছে এটা বিচারে যা হয় মেনে নিবো।”
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা আলম জানান, “আমি উপজেলায় কিছুদিন হলো যোগদান করেছি, বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির সভাপতি আমি, ইতিমধ্যে আমি প্রতিষ্ঠানের সুপারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি। কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।”