বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়া ইউনিয়নের পূর্ব সাতুরিয়া মিরাবাড়ি এলাকার মৃত আমিনুল ইসলামের ছেলে ব্যবসায়ী এসএম মাসুমের পিলার দিয়ে সীমানা নিধার্রন করা ক্রয়কৃত দীর্ঘ ৮ বছর ধরে দখলীয় জমির সাইনবোর্ড ফেলে দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মশিউর রহমান অর্ধশত লোকের ভুড়িভোজের আয়োজন করে দলবল নিয়ে ওই পিলার ও কাটাতারের বেড়া দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির রোপাগাছসহ বাগান দখলে নিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে রোববার দুপুরে ব্যবসায়ী এসএম মাসুম সাংবাদিকদের অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে এসএম মাসুম জানান, ২০১৪ সালে ওই এলাকার মৃত হাছান আলী হাওলাদারের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছ থেকে ১নং জেএল সাতুরিয়া মৌজার (হাল ৯) ১৬০০ ও ১৬০১ নং বিএস খতিয়ানের এস এ ২৫৮০, ২৫৮২, ২৫৮৩, ২৫৮৫, ২৫৮৪ ও ১৩৪৩, ১৩৪৪, ১৩৪৫, ১৩৪৬, ১৩৫৬ দাগ খতিয়ান এবং ৩৮০৯, ৩৮০৭, ৩৮০৮, ৩৮১০, ৩৮১১, ৩৮১২ নং দাগের ৫৬ শতাংশ দলীলমূলে জমি ক্রয় করেন। ওই সময় জমিতে সীমানা পিলার ও সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করা হয় এবং পুকুরে ঘাটলা দেয়া হয়। ব্যবসায়ী এসএম মাসুম আরও অভিযোগ করে জানান, ব্যবসার কাজে তিনি ঢাকায় থাকার সুযোগে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ভোগ দখলীয় ওই বাগান গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জেলা পরিষদ সদস্য সাতুরিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি আব্দুস সোবাহান খানসহ এলাকার হাফেজ আব্দুস সালাম, লুৎফর রহমান, আলতাফ হোসেন, সাইদুল ও খুলনার ভাড়াটিয়া অর্ধশত লোক নিয়ে মশিউর রহমান ভুড়িভোজের আয়োজন দলবল নিয়ে এসএম মাসুমের সাইনবোর্ড ফেলে দিয়ে প্রতিপক্ষ মশিউর রহমানের নামের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দখলে নেয় এবং পশ্চিম পাশে কাটাতার ও পিলারের বেড়া দেয়। এরপর নানাভাবে তাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে জেলা পরিষদ সদস্য সাতুরিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি আব্দুস সোবাহান খান জানান, ওই জমি নিয়ে বিরোধের একটি বিষয়ে তাকে ডাকা হলে তিনি ওখানে যান। কিন্তু উভয় পক্ষকে না পেয়ে তিনি চলে আসেন। ওখানে তিনি দুপুরে খাবারও খাননি। পরে পিলার ও কাটাতারের বেড়া এবং সাইনবোর্ড টানানোর বিষয়টি জানতে পেরে তাদের নিষেধ করা হয় এবং সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলতে বলা হয়। জমি দখলের সাথে তিনি জড়িত নন, তার সামনে বসে জমি দখলও করা হয়নি। ওটা তাদের বিষয় বলেও জানান তিনি। অভিযোগের বিষয়ে মশিউর রহমান জানান, ওই জমি তার ছোট চাচা জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে পৌনে ২৩ শতাংশ জমি ক্রয় করা এবং পৈত্রিকও। কোন জবরদস্তি বা জোর করে দখলে নেয়া হয়নি। স্থানীয় গণ্যমান্য ও আমিন কাগজপত্র দেখে তার জমি মেপে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, অনেক আগে এ জমি ক্রয় করেছি কিন্তু এলাকায় না থাকায় আগে জমি বুঝে নেয়া হয়নি। রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন ব্যবস্থা নেয়া হবে।