শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালত মাদক আইনের মামলায় মিলন(২৭)কে ৫বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬মাসের দন্ডাদেশ প্রদান করেছেন। বৃহস্পতিবার বৈকালীক পর্বে এই আদালতের বিচারক মোঃ শহিদুল্লাহ আসামীর উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। মিলন ঝালকাঠি শহরের বাসন্ডা এলাকার মোঃ মুজিবুর রহমানের পুত্র। ২০১৭ সালে ৯ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে ৯টায় যুব উন্নয়ন অফিসের সামনে একটি মুধি দোকান থেকে মিলনকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশালে আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ানের একটি টিম আটক করে এবং তার স্বীকার উত্তির ভিত্তিতে ও তার হেফাজত থাকা ৫২পিস ইয়াবা ট্যাকলেট উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়নের এস আই মোঃ আবু হানিফ বাদি হয়ে ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়ের করে। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসএই মোঃ মোজাম্মেল হক আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করে। আদালত ১৩ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে।
এদিকে ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত শিশু কন্যাকে(১২) অপহরণ করার দায়ে কথিত ভন্ড ও ওঝা সোলেমান ফকিরকে(২৭)কে ১৪ বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমান অনাদায়ে আরও ৬মাসের দন্ডাদেশ প্রদান করেছে। বৃহস্পতিবার বৈকালিক পর্বে এই আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এম এ হামিদ রায় ঘোষণা করেন। সাজা প্রাপ্ত সোলেমান ফকির বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের রতন ফকিরের পুত্র। অভিযোগ রয়েছে ২০১৫ সালের ১৮ জুলাই সোলেমান ফকির রাজাপুর উপজেলার পশ্চিম বাদুরতলা গ্রামের ইউনুছ সরদারের কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাকে বিভিন্ন স্থানে রাখে এবং তার সাথে থাকা ৫০ হাজার টাকা মূল্যের সোনর গহনা নিয়ে যায়। ইউনুছ সরদার খোঁজ খবর নিয়ে আসামীর বসত বাড়ী থেকে ১৫ আগস্ট ২০১৫ বিকেল ৪ টায় নিয়ামতি পুলিশ ফাঁিড়র সহযোগীতা নিয়ে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে ইউনুস সরদার ১৮ আগস্ট বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করে। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইউনুস মিয়া ২৩/১২/২০১৫ আদালতে চার্জসীট দাখিল করেন। আদালত ৮জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। রায় প্রদানকালে আসামী পলাতক ছিল।