সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় স্কুল শিক্ষক হৃদয় তালুকদার অপহরণের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকতে পারে এমন সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক র্যাব সদস্যসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফের্রুয়ারী) থানার এসআই মো.ইমরান ও এসআই কাইয়ুম বাহাদুরের নেতৃত্বে এবং ভান্ডারিয়া থানার পুলিশের সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে রবিউল ইসলাম সোহেল (২৭) কে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী র্যাব সদস্য মেহেদী হাসান মাহফুজ (২৬) কে আটক করা হয়।
আটককৃত মেহেদী হাসান মাহফুজ র্যাব-৬ খুলনায় কর্মরত ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার আতরখালী গ্রামের মো.আলম হাওলাদারের ছেলে এবং রবিউল ইসলাম সোহেল ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রামের মো.মোস্তফা বেপারীর ছেলে।
জানাগেছে, উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের সেলিম তালুকদারের ছেলে মো.হৃদয় তালুকদার বাহাদুর (২৭) পাশর্^বর্তী রাজাপুর উপজেলার গালুয়া কৈবর্তখালী জিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটর ল্যাব অপারেটর পদে চাকুরি করেন। গত মঙ্গলবার (১৩ ফের্রুয়ারী) বিকেলে হৃদয় তালুকদার তার কর্মস্থল গালুয়া কৈবর্তখালী জিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মটর সাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামে ফিরছিল। পথে উপজেলার চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নের কৈখালী বাজারের টেম্পুস্টান্ডে পৌছালে র্যাব পরিচয়ে ওই শিক্ষকের মটরসাইকেলের গতিরোধ করে। মটর সাইকেল থেকে নামিয়ে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে একটি মাইক্রো গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। দুই ঘন্টা পর পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া উপজেলার বড় মাছুয়া নদীর পাড়ে নিয়ে শিক্ষকের হাতে হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় ছবি তুলে মোবাইলে ফোন হৃদয় তালুকদারের স্ত্রী তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শারমিন সুলতানাকে। ফোন দিয়ে তার স্বামীকে ছেড়ে দিতে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়। টাকা পরিশোধের জন্য একটি বিকাশ একাউন্ট নম্বর দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের পিতা সেলিম তালুকদার বাদী হয়ে রাতে থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন। জিডির পর অপহরণকারিদের দেওয়া বিকাশ নম্বরের সুত্র ধরে পিরোজপুর, বাগেরহাট ও খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের অভিযান টের পেয়ে এদিন (১৩ ফের্রুয়ারী) গভীর রাতে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার লক্ষীপুরা গ্রামের একটি বাগানে হৃদয় তালুকদারকে ফেলে রেখে যায়। আহত অবস্থায় শিক্ষক হৃদয় তালুকদারকে উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার চিংগুরিয়া ভিটাবাড়ীয়ার শাহজালাল খানের ছেলে মো.মানিক খান (১৮ ) কে অপহরণ করে চক্রটি। হৃদয় তালুকদারের সাথে মানিক খানকেও ছেড়ে দেওয়া হয়।
থানার ওসি মো.নাসির উদ্দিন সরকার জানান, শিক্ষক অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবীর ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।