সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় কোর্টের নিষেধাজ্ঞার জমিতে অবৈধভাবে তৈরী স্থাপনা রহস্যজনক আগুনে পুড়ে গেছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার আমুয়া গ্রামে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মামলার বাদী ও বিবাদীরা একে অপরের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। কোর্টের মামলার বাদী উপজেলার আমুয়া গ্রামের নিজাম উদ্দিন হাওলাদারের দাবী মিথ্যা মামলা ফাঁসানোর পায়তারা করছে বিবাদী পক্ষ। বিবাদী ইলিয়াস সিকদার গংরা বলছে রাতের তাদের তৈরী স্থাপনা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে মামলার বাদী।
জানাগেছে, উপজেলার আমুয়া গ্রামের মৃত মনেচ হাওলাদারের ছেলে মো.নিজাম উদ্দিন হাওলাদারের সাথে একই গ্রামের রুস্তম সিকদারে ছেলে ইলিয়াস সিকদার, শুক্কুর সিকদার ও তোফাজ্জেল সিকদারে ছেলে রুস্তম সিকদারের আমুয়া মৌজার ১১ শতাংশ জমির দখল নিয়ে দ্ধন্ধ চলছে। এ জমিতে জোর পুর্বক স্থ্াপনা নির্মাণের চেষ্টা করে ইলিয়াস সিকদার গংরা। বাধা দিলে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায় জমির মালিক নিজাম উদ্দিনকে। গত সোমবার ঝালকাঠি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইলিয়াস সিকদারসহ ৫জনকে আসামী করে একটি মামলা করে নিজাম উদ্দিন। (মামলা নং-৪০৫/২২ (কাঠা)। কাঠালিয়া থানার ওসিকে বিরোধীয় জমিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন আদালত । থানা পুলিশ মামলার বাদী এবং বিবাদীদের নোটিশ প্রদান করে। কোর্টের আদেশ অমান্য করে গত বৃহস্পতিবার সারাদিন নিষেধাজ্ঞার জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করে বিবাদীরা। বাদী বিষয়টি পুলিশকে জানালে মহল্লাদার আবুল হোসেনকে কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দেয় পুলিশ। থানা পুলিশের নির্দেশে মহল্লাদার বিবাদীদের কাজ বন্ধ রাখতে বলে। রাতে সেই স্থাপনা রহস্যজনক আগুনে ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ইলিয়াস সিকদার জানান, হামিদ রাড়ী ও পান্না হাওলাদারের কাছ থেকে জমি কিনে সেই জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে বাধা দেয় নিজাম হাওলাদার। রাতের আধারে আমাদের স্থাপনায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় সে।
মামলার বাদী নিজাম উদ্দিন জানান, মামলার আসামীরা আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আমার দখলকৃত জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করছে বিবাদীরা। বাঁধা দিলে আগুন দিয়ে স্থাপনা পুড়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানোর চেষ্টা করছে।
থানার এএসআই মো.ফেরদৌস জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বিরোধীয় জমিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য বাদী ও বিবাদীকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। স্থাপনা তৈরী ও আগুনের ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।