সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি:
“ছেলেকে নিয়ে অন্যের ঘরে আশ্রয় নেয়ার মিনিট পাঁচের মধ্যে মড়মড় করে ঘরের উপর ভেঙে পড়ে গাছ। এতে ঘরটি ভেঙ্গে যায়। আমার মাও নেই বাবাও নেই। স্বামীও কোন কর্ম করতে পারে না, থেকেও নেই। এমন অবস্থায় আমি কিভাবে আর কোথায় থাকবো। নতুন ঘর তোলার কোন উপায় নেই। কোন রকমের বাবার ঘরটিতে বসবাস করতাম। তাও বন্যায় কেড়ে নিলো। আমার কষ্টে কষ্টেই জীবন গেলো। আল্লাহ আমাকে বাঁচাইছে যদি ঘর থেকে অন্যের ঘরে না যাইতাম তবে বাঁচতামই না।” কান্নাজড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম আউরা গ্রামের অসহায় মেরী বেগম। গত সোমবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবে নারিকেল, সুপারি ও চাম্পল গাছ ভেঙে পড়ে মেরী বেগমের ঘরের উপর। এতেই তার ঘরটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। মেরী বেগম ওই গ্রামের শামসুল হকের মেয়ে। পিতা-মাতার মৃত্যুর পর তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিতার বসত ঘরেই বসবাস করতেন। আমুয়ার বাসিন্দা স্বামী মালেক খান অসুস্থতার কারণে কোন কাজ করতে পারেন না। দুই ছেলে রয়েছে মেরী বেগমের। ছোট ছেলে তার সাথেই থাকেন আর বড় ছেলে থাকেন ঢাকায়।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং প্রভাবে গাছ ভেঙে পড়ায় তার ঘরটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এমন অবস্থায় নতুন ঘর তোলাও তার পক্ষে অসম্ভব। তাই তিনি সকলের কাছে সাহায্য চেয়েছেন।