বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
বাগেরহাটের রামপালে ৩০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট শর্তে দেশি-বিদেশি চারটি প্রতিষ্ঠানকে যৌথভাবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। একই সভায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য তেল ও মসুর ডাল এবং বিদেশ থেকে সার কেনার সিদ্ধান্তও হয়।
সভা শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি বলেন, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ৮টি প্রস্তাব পাস করা হয়। এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৫টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২টি, সড়ক পরিবহন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল। অনুমোদন পাওয়া ৮টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১১ হাজার ৪৩০ কোটি ৭৭ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫০ টাকা।
সাঈদ মাহবুব খান বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় ৩০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এর জন্য সৌদি আরবের অ্যাকোয়া পাওয়ার কোম্পানি, বাংলাদেশের কমফিট কম্পোজিট নিট লিমিটেড, ভিয়েলাটেক্স স্পিনিং লিমিটেড এবং মিডল্যান্ড ইস্ট পাওয়ার লিমিটেড বাংলাদেশ যৌথ কোম্পানির মাধ্যমে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করবে। নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হবে। ২০ বছর মেয়াদে ওই কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১১ দশমিক শূন্য ৬৭ টাকা হিসাবে আনুমানিক ১০ হাজার ৭৬১ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
গতকালের সভায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান তেল এবং ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়। মসুর ডাল কিনতে মোট খরচ হবে ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৯৫ টাকা ৯ পয়সা, যা আগের চেয়ে একটু বেশি। প্রতি কেজির আগের দাম ছিল ৯৪ টাকা ৪৪ পয়সা। তবে তেল কিনতে কিছুটা কম ব্যয় হবে। প্রতি লিটার ১৬১ টাকা ৫০ পয়সা দরে রাইস ব্র্যান তেল কিনতে মোট খরচ হবে ৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের প্রতি লিটারের দাম ছিল ১৬৯ টাকা ২৫ পয়সা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে সার ও সারের কাঁচামাল কেনার পাঁচ প্রস্তাবও অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা কমিটি। চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের (টিএসপিসিএল) জন্য মালয়েশিয়া থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট ৯৭ কোটি ৮২ লাখ টাকায় এবং চীন থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড কেনা হবে ৫৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকায়। বিসিআইসি রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করবে ২৬২ কোটি টাকায়। সংস্থাটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকেও ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কিনবে ১২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকায়।
এদিকে গম আমদানির ক্ষেত্রে দরপত্র দাখিলের নিয়মে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত এসেছে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায়। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে দরপত্র দাখিল করতে হবে। আগে এ সময়সীমা ছিল ৪২ দিন।