বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৩ অপরাহ্ন

রাজাপুরে সাংবাদিকদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দিলেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা

রাজাপুরে সাংবাদিকদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দিলেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা

রাজাপুর প্রতিনিধি:

জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৭ অক্টোবর সোমবার ছিলো ভোট গ্রহন। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেন সেখানকার দায়িত্বরত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি উপজেলা প্রশাসনের আইসিটি কর্মকর্তা পদে বর্তমানে কর্মরত।

ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় ভোট গ্রহন শুরুর পর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে সাংবাদিকরা পরিস্থিতি দেখতে প্রবেশ করেন। তখন ঐ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম কক্ষে ঢুকতে বাধা দেয় এবং উচ্চ বাক্য ছুড়েন। সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদে লিপ্ত হলে দু’পক্ষেই বাক বিতন্ডা হয়। ঘটনার সময় কক্ষে ঐ সময় আসেন জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. মনিরুজ্জামান। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান মুন্সি। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে তাতক্ষনিক বিষয়টি জানানো হয় এ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীকে। ঘটনার কিছু পরেই ঐ কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন রিটানিং কর্মকর্তা। সাংবাদিকদের নিয়ে তিনি ভোট কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। আবারও সাংবাদিকরা যেনো ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ না করেন সে বিষয় রিটানিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন অভিযুক্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। তার অনুরোধে রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীও সাংবাদিকদের উপরে প্রবেশ না করার জন্য বলেন।

কেনো বাধা দিয়েছিলেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে বলেন, ‘কাল অফিসে আসেন তখন বলবো কি হয়েছিলো।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান মুন্সি বলেন, ‘ঘটনাটি ছিলো তুচ্ছ, আমি সকল সাংবাদিকদের চিনি তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে আমি সবাইকে অনুরোধ করি এবং কক্ষের ভিডিও ফুটেজ নিতে সহযোগীতা করি। তারা (সাংবাদিকরা) আমার কথায় সন্তুষ্ট হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এবং ভোট গ্রহন শেষ হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রে শাান্ত পরিবেশ বিরাজ করে।’

 

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

কাঠালিয়া বার্তা’য় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : মোবাইলঃ ০১৮৪২২৫৩১২২












All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana