ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে বসতঘর ভাংচুর করে মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি বাজার সংলগ্ন এলাকায় মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শহিদুল ইসলাম ঐ এলাকার মৃত এস্কেন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং জাহাঙ্গীর, নুরুজ্জামান, জুয়েল তিন জনকে আটক করে।
স্থানীয় মাসুদ হাওলাদার, পংকোজ হাওলাদার, সেনা সদস্য সেলিম , ইব্রাহীম জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করে উপজেলার সাতুরিয়া এলাকার মো. মিল্লাত হোসেন জম্মাদারের মেয়ে ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে কর্মরত বিউটিশিয়ান চন্দিামা রিমু রাজাপুর সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সদস্য নাজমা ইয়াছমিন মুন্নি ও বাবুর্চি নবাব হোসেনের সহায়তায় ৩০/৩৫ জন নারীসহ এক থেকে দেড়শত ভাড়াটিয়া লোক হাতে দেশীয় অস্ত্র রামদা, দাও, লোহার রড়, হাতুড়ি ও লাঠি নিয়ে শহিদের বাড়িতে আসে। এ সময় শহিদ, তার স্ত্রী রুমিছা আক্তার ও শ্বাশুরি মজিদা বেগমকে মারধর করে দঁড়ি দিয়ে বেধে রেখে তাদের বসত ঘর ভাংচুর করে ধংসস্তুপে পরিনত করে ঘরে থাকা সমস্ত মূল্যবান মালামাল লুট করে পিকাপে তুলে নিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা আরো জানায়, যুদ্ধের সময় অনেক লুটপাটের কথা শুনেছি। কিন্তু এই স্বাধীন দেশে দিনের বেলায় এমন লুটপাটকে যুদ্ধের সময়কেও হার মানিয়েছে।
ভূক্তভোগী মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানায়, চন্দিামা রিমু নারী-পুরুষসহ এক দেড়শত ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আমাদের মারধর করে বেধে রেখে বসতঘর ভাংচুর করে সমস্ত মালামাল লুট করে পিকাপে করে নিয়ে যায়। ভাড়াটিয়া লোকের অস্ত্রের সামনে স্থানীয় লোক আসতে পারেনি। সবাই দূরে দাঁড়িয়ে ছিল।
অভিযুক্ত চন্দ্রিমা রিমু লুটপাটের বিষয় অস্বীকার করে জানায়, ঐ বসত ঘর ও জমি আমার স্বামীর ওদের থাকতে দিয়ে ছিলাম। ঐ স্থানে ভবনের কাজ শুরু করবো তাই বসতঘরটি লেবার দিয়ে অপসারন করা হয়েছে। কাজ শেষে লেবারের বিল দিতে আমি ও ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াছমিন মুন্নি ঘটনা স্থানে যাই। লুটপাট করলে দিনে কেন রাতে যেতাম।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার জানান, ঘটনা স্থল থেকে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।