রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার চল্লিশ কাহনিয়া খান বাড়ি জামে মসজিদ সংলগ্ন পুরাতন গোরস্থান এবং কালিমা তোরণ উচ্ছেদের পরিকল্পনা করে স্থানীয় একটি মহল। এর প্রতিবাদে বুধবার দুপুর ২টায় সংবাদ সম্মেলন এবং বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
এতে বক্তৃতা করেন শাহরুমী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মামুনুর রশিদ নোমানী, দরবারের প্রধান খাদেম মো. ফারুক হোসেন, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. ইউনুস আলী মোল্লা, স্থানীয় মুসল্লি ও প্রবীণ ব্যক্তিত্ব খলিলুর রহমান প্রমুখ।
এসময় স্থানীয় বড়ইয়া ইউপি সংরক্ষিত নারী সদস্য ছালমা আক্তার, সদস্য কবির হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এরপূর্বে বরিশালের ডিআইজি বরাবরে গোরস্থান ও কালিমা তোরণ রক্ষার দাবিতে আবেদন করেছে শাহরুমী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মামুনুর রশিদ নোমানী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এবং আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চল্লিশ কাহনিয়া গ্রামের অধিবাসী। গ্রামটি নদী ভাঙ্গন কবলিত একটি জনপদ। দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার মানুষ সুশৃংখলভাবে শান্তিতে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি একটি কুচক্রিমহল ও এলাকার শান্তি বিনষ্টকারী একটি দুষ্টচক্র ঐতিহ্যবাহী চল্লিশকাহনিয়া হাজী বাড়ি জামে মসজিদ এর কমিটি নিয়ে নোংরামী করছে। এর পরই মরহুম শাহ রুমীয়ান ফকিরের মাতা এবং পিতা মরহুম আজাহার আলীর অর্ধশত বছরের কবর ও লা ইলাহা ইলাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ,আল্লাহু, মুহাম্মদ লেখা পাকা তোরণ উচ্ছেদের জন্য ষড়যন্ত্রের পায়তারা করছে। তোরন, কবর ও মসজিদ মরহুম শাহ রুমিয়ান ফকিরদের দানকৃত জমিতে।
ঐতিহ্যবাহী চল্লিশকাহনিয়া হাজী বাড়ি জামে মসজিদ এর কোন বৈধ কমিটি নাই। স্বঘোষিত একটি অবৈধ কমিটির কতিপয় সদস্য এবং স্থানীয় জামাতের সাংগঠনিক সভাপতি ও রোকন সদস্য মোঃ সাইয়িদ আহমেদ ওরফে সৈয়দ আলী তার জামাতে ইসলামীর সদস্যদের নিয়ে মসজিদে জামাতের গোপন মিটিং, রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী কর্মকান্ড করলে সাধারন মুসুল্লীরা বাধাঁ প্রদান করলে স্থানীয় লোকজনের দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কবর, তোরণ উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। অবৈধ ও কথিত মসজিদ কমিটির কতিপয় দুষ্ট সদস্য মসজিদের নাম ব্যববহার করে অপপ্রচার ও শান্তি বিনষ্টের পায়তারা করছে।
এসব লোকদের জমি বা অবদান কোনটাই নাই। অথচ তারা সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টির জন্য কাজ করছে এবং অপপ্রচার করে সুনাম নষ্ট করছে ঐতিহ্যবাহী মসজিদের। আমরা চল্লিশ কাহনিয়ার শান্তি প্রিয় লোকজন শান্তিতে বসবাস করতে চাই। একই সাথে গ্রামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ও ধর্মীয় বিষয় নিয়ে উস্কানী দিয়ে দাঙ্গা লাগানো সৃষ্টিকারীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানাচ্ছি।
তারা ধর্মের নামে বিষবাষ্প ছড়িয়ে যেকোন সময় অনাকাংখিত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। চল্লিশ কাহনিয়া গ্রামের শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে কবর , কালিমা তোরণ উচ্ছেদ ষড়যন্ত্র বন্ধ এবং ধর্মীয় দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
এব্যাপারে মোঃ সাইয়িদ আহমেদ ওরফে সৈয়দ আলীর বক্তব্য জানতে যোগাযোগের জন্য তার ব্যবহৃত ০১৮২৩৩২৫২০৭ নম্বরে বারবার কল দিয়ে চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। ক্যাপশন:- রাজাপুরে পুরাতন গোরস্থান ও কালিমা তোরণ রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও এলাকাবাসীর বিক্ষোভ।