সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪০ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
পিলখানা ট্রাজেডির ঘটনায় তৎকালীন চাকরিচ্যুত বিডিয়ার সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বাহার, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় কারাবন্দিদের মুক্তি ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে ঝালকাঠিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১২ জানুয়ারী) বেলা ১২ টায় প্রেসক্লাবের সামনে “বিডিআর কল্যাণ পরিষদ” ঝালকাঠি জেলা শাখার ব্যানারে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা এবং তাদের পরিবারের স্বজনরা তিন দফা দাবি নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ডিএডি সাখাওয়াত হোসেন, হাবিলদার গিয়াস উদ্দিন, নায়েক জাহাঙ্গীর হোসেন, সুবেদার মোহাম্মদ আলী ও বিডিআরের সন্তান জেসমিন আক্তার।
তাদের তিন দফা দাবি হল- পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলা বাতিল; কারাবন্দিদের মুক্তি, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল ও পুনর্বাসন এবং পিলখানা হত্যা মামলায় পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। দেড় দশক আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর কারাগারে আটক রয়েছেন অনেক বিডিআর সদস্য, চাকুরিচ্যুত হয়েছেন অনেক।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এসব বিডিআর সদস্যদের স্বজনরা সম্প্রতি তাদের মুক্তির দাবি তুলেছেন। এরই অংশ হিসেবে বিডিআর স্বজনরা কয়েকদিন আগে রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।
পরে নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ চালানোর পাশাপাশি রোববার জেলায়-জেলায় মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়ে ঢাকা ছাড়েন তারা।
সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝালকাঠিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিডিআরের সাবেক ডিএডি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও তার দোসরদের চক্রান্তে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নাটক সাজানো হয়। সেনা কর্মকর্তাদের নির্মমভাবে হত্যার পর নির্দোষ সৈনিকদের চাকুরিচ্যুত ও সাজা দিয়ে লোক দেখানো তদন্তের নামে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের নির্দোষ দাবি করে তিনি আরও বলেন, বিডিআর সদস্যদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়। এতে কয়েক হাজার বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যেসব বিডিআর সদস্য জেলবন্দী আছেন তাদেরও মুক্তি দিতে হবে।