শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে রাবার বুলেটে নিহত ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে। তার নাম মকবুল (৪৫) এবং পেশায় কাপড়ের ডিজাইনার।
মকবুল নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে। তিনি মিরপুর-১১ নম্বরের লালমাটিয়া বাউনিয়াবাঁধের টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকতেন।
বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে রাবার বুলেটে বিদ্ধ একজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ শনাক্ত করেন মৃতের ভাই নুর হোসেন।
সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহত মকবুলের স্ত্রী হালিমা আক্তারে আহাজারি করতে দেখা গেছে। মকবুল এক কন্যাসন্তানের জনক।
মকবুলকে উদ্ধারকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, পার্টি অফিসের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন দেখতে পেরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল পৌনে ৪টায় মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, নিহতের শরীরে প্রচুর ছড়া গুলির চিহ্ন রয়েছে।
এর আগে ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ সামনে রেখে গত দুই দিনের মতো আজও নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার পক্ষে স্লোগান দেন তারা। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রায়টকার দিয়ে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
অন্যদিকে স্লোগান দিয়ে পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে ফকিরাপুল মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের ছোড়া অসংখ্য টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ে দলীয় কার্যালয় ও এর আশপাশ এলাকা। সূত্র: কালের কন্ঠ