সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫০ অপরাহ্ন

নলছিটিতে তুচ্ছ ঘটনায় দুই যুবককে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা

নলছিটিতে তুচ্ছ ঘটনায় দুই যুবককে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

পুকুর পাড়ের মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে দুই যুবককে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষ ফুলমালা বেগম এবং মিলি বেগম। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ঢাপর গ্রাম।

আহত আব্দুল ওয়হেদ হাওলাদার (৪০) এবং মো. রাব্বি হাওলাদার (২০) বর্তমানে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আহত দুজন পরস্পর চাচাতো ভাই। হামলাকারীরা হলো একই গ্রামের মুনসুব আলীর বড় মেয়ে ফুলমালা বেগম, ছোট মেয়ে মিলি বেগম।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের স্বজনরা জানান, ‘ঢাপর গ্রামের মৃত মুনসুর হাওলাদারের ছেলে রাব্বি হাওলাদার গত ২০/২৫ দিন আগে বাড়ির পারিবারিক পুকুরে সেচ কাজ করে পুকুর পাড়ের মাটি কেটে ঘাটলা মেরামত করতেছিলো। তখন তার (রাব্বির) মেজ চাচা মুনসুব আলী বাধা দেয় এবং মাটি কাটতে নিষেধ করে। চাচার সাথে ভাতিজার কথা কাটাকাটি দেখে মুনসুব আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম লাঠি দিয়ে রাব্বিকে আঘাত করে। রাব্বি আঘাত ঠেকাতে লাঠি কেড়ে নিলে ফাতেমা মাটিতে পরে যায়। ঘটনার কিছুক্ষণ পর চাচা মুনসুব আলী স্থানীয় যুবক রাসেল ও জামালকে খবর দেয়। তারা দলদল নিয়ে আসারর সময় পথিমধ্যে মসজিদ বাড়ি এলাকায় রাব্বিকে পেয়ে ইট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে আহত করেছে। রাব্বির ডাক চিৎকারে স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী রুস্তুম এসে রাব্বিকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।’

রাব্বির স্বজনরা আরো জানায়, ‘রাব্বির চাচা ফজলুল হক কালু ও সাইদুর রহমান বাছির এঘটনাটি শালিসির মাধ্যমে ঈদের পর মিমাংসার জন্য দায়িত্ব নেয়। কিন্তু মিমাংসার জন্য শালিস বৈধকে আর বসা হয়নি। এরপর শুক্রবার ৪ এপ্রিল দুপুর দেরটার দিকে মাটিকাটতে বাধাদেয়া সেই মুনসুব আলীর বড় মেয়ে ফুলমালা বেগম এবং ছোট মেয়ে মিলি বেগম রাব্বিকে ঘর থেকে ডেকে বের করে বাকবিতন্ডায় জড়ায়। তাদের চেচামেচি শুনে রাব্বির চাচাতো ভাই মৃত লোকমান হোসেন হাওলাদারের ছেলে ওয়াহেদ হাওলাদার তাদের থামাতে যায়। এসময় উত্তেজিত মিলি ও ফুলমালা ওয়াহেদ ও রাব্বিকে লাঠিদিয়ে মাধা ও শরীরে এলোপাথারী আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে সটকে পরে।’

স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাদের দুজনকে রক্তাক্তবস্থায় উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। দুজনেরই মাথায় আঘাত রয়েছে বিধায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ‘৯৯৯ নম্বর থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এবং ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

কাঠালিয়া বার্তা’য় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : মোবাইলঃ ০১৮৪২২৫৩১২২












All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana