সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠির রাজাপুরের মঠবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানে ৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদেই জন্মসনদ পেতে ও সংশোধন করতে পদে পদে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বাগড়ি (১ নং ওয়ার্ড) গ্রামের মো. কবির সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। এমন একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী কবির খান সাংবাদিকদের কাছে জানান, এলাকায় না থাকার কারণে তিনি এর আগে কোথাও জন্ম নিবন্ধন করতে পারেননি। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের অঙ্গীকারনামা, প্রত্যয়নপত্র, নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ সনদসহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র দিয়ে মঠবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে আবেদন পত্র জমা দেন। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমান তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে নানা অযুহাতে টালবাহানা শুরু করেন। পরে নিরুপায় হয়ে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে মঠবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে জন্মসনদ নেন তিনি।
কবির খান অভিযোগ করে বলেন, ‘যেদিন ঘুষের টাকা দিয়েছি, সেদিনই সনদ দিয়েছে। মঠবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান পরিষদের যোগদানের পর থেকেই ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না। ঘুষ না দিলে তিনি নানাভাবে মানুষকে হয়রানি করেন।’
মঠবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘মো. কবিরের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে দিতে না পারায় তার জন্মসনদ প্রস্তুত করতে বিলম্ব হয়েছে। বিলস্ব হওয়ার কারনে তিনি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও ইউএনও মহোদয় অবগত আছেন, তাদের কাছে বিস্তারিত খুলে বলা হয়েছে। তারা পরিষদে গিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন।’
ইউএনও রাহুল চন্দ জানান, একাধিক অভিযোগ আসার পর ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করে তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। যেহেতু সতর্ক হয়নি তাই যেসব অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তা তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।