রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে ব্যাপক ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিলের বিষয়টি আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ছুটি বাতিলের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের দিন ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করত।
গতকাল সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও গতকাল গণতন্ত্র মঞ্চ, সিপিবি, বাসদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, এবি পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও গণ অধিকার পরিষদের দুই অংশের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের দিন ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হবে কি না, সে বিষয়ে আলোচনায় ভিন্ন ভিন্ন মত আসে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, কোনো কোনো দল ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাতিল করার কথা বলেছে। আবার কোনো কোনো দল জাতীয় শোক দিবস বাতিল না করার পক্ষে মত দেয়।
শোকপ্রস্তাব গ্রহণ
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করে।
গভর্নরের সর্বোচ্চ বয়সসীমা থাকবে না
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে আর্থিক খাতে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এ পদে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৭ বছর নির্ধারিত থাকায় আর্থিক খাতে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে গভর্নর হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। পাশের দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কাসহ এশিয়ার অনেক দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পদে সর্বোচ্চ বয়সসীমার উল্লেখ নেই।
এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সর্বোচ্চ বয়সসীমা সংক্রান্ত আদেশের বিধানটি বিলুপ্ত করার প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়।
অভ্যুত্থানে হতাহতদের তালিকা হচ্ছে
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা এবং শহীদ পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, অর্থ বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি ছাত্র-জনতার সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা এবং শহীদ পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে। একই সঙ্গে সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ এবং আহত ব্যক্তিদের পরিচিতিসহ পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করবে।