শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৩ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় এক স্বামী পরিত্যাক্তা অসহায় গৃহবধু (৪৮) কে পালাক্রমে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে ওই নারীর মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ঘর ছাড়া করার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রোববার (৪ এপ্রিল) দুপুরে কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভিকটিম। উপজেলার শৌলজালিয়া আবাসনের ৯নং ঘরে ৩১ মার্চ বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানাযায়, ‘‘ঘর নেই, জমিও নেই’’ প্রকল্পের অধীনে শৌলজালিয়া গ্রামে নির্মিত আবাসনে সরকারীভাবে বরাদ্দ পেয়ে ৯নং ঘরে বসবাস করছেন স্বামী পরিত্যাক্তা অসহায় গৃহবধু। ঘরে লোক আছে এমন অযুহাতে ৩১ মার্চ বুধবার রাত ২টার দিকে মাইদুল খলিফা পরিচয়ে ঘরের দরজায় খুলতে বলেন। পরিচয় পেয়ে ঘরের দরজা খুললে রফিক ও মাইনুল ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। রফিক (৫০) দরজা বন্ধ করে দিয়ে প্রথমে মাইদুল ও পরে রফিক ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। ডাকচিৎকার দিলে একজনের সময় আরেকজনে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে। একথা কাউকে বললে এ ঘটনা ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় এবং কারো কাছে ফোনে যোগাযোগ করতে না পারে এজন্য ভিকটিমের মোবাইলটিও নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে বিভিন্নভাবে ওই নারীকে হুমিক দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।
অভিযুক্ত রফিক উপজেলার কচুয়া গ্রামের আঃ সত্তার এবং মাইদুল শৌলজালিয়া গ্রামের আঃ মালেক খলিফার পুত্র।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সেন্টারের হাট বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী মোঃ শামসুল আলম জানান, রফিক আমার হোটেলে অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। রফিকও একই আবাসনের বাসিন্দা। আবাসনের বাসিন্দা ভিটকীম ওই মহিলার সাথে হোটেল কর্মচারী রফিকের দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ সম্পর্ক ছিলো। রফিক মাঝে মধ্যে আমার হোটেল থেকে পুড়ি, মোংলাই ও অন্যান্য খাবার সামগ্রী মহিলার বাসায় নিয়ে যেত। এমনকি ওই মহিলার নাতিকেও খাদ্যসামগ্রী কিনে দিতো সে।
কাঠালিয়া থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, ইউএনও মহোদয়ের কাছে দেয়া একটি অভিযোগ তিনিই আমার কাছে ভিকটিমসহ পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রফিক নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।