সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ অপরাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় সিঁদকেটে ঘরে ঢুকে থানার লোক পরিচয়ে গার্মেন্টস কর্মীর বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। শুক্রবার (২১মে) দিনগত রাত ২টার দিকে উপজেলা দক্ষিণ কৈখালী গ্রামের (কাঠালিয়া-ভান্ডারিয়া সড়কের পাশের্^) ইব্রাহীম ফকিরের ঘরে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তবে থানা পুলিশ ডাকাতির ঘটনাটিকে চুরির ঘটনা বলে স্বীকার করেন। গৃহকর্তা ইব্রাহীম ফকির এবং তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম দুজনেই চট্রগ্রামের একটি গার্মেন্টস কোম্পানীতে কাজ করেন। ছোট বোনের বিয়ে উপলক্ষ্যে স্ত্রী মাহমুদা বেগম ক’দিন পূর্বে বাড়িতে আসে।
গৃহকর্তা ইব্রাহীম ফকিরের মা পারু বেগম ও স্ত্রী মাহমুদা বেগম জানান, রাত দুইটার দিকে ঘরের সামনের বারান্ধায় সিঁদ কেটে ৪জন মুখোশপড়া ডাকাতদল ঢুকে ঘরের বৈদ্যুতিক লাইট জ¦ালিয়ে পুত্রবধূ ও আমার বিছানার কাছে রামদা ও লাঠি নিয়ে দাড়িয়ে থাকেন এবং বারান্ধায় ঘুমে থাকা নাতি মাকছুদুল্লাহকে (১৮) রশি দিয়ে বাঁধার চেষ্টা করলে সে জোরদবস্তি করলে ডাকাতরা প্রথমে থানার লোক পরিচয় দিয়ে বলে, তোদের গ্রেফতার করতে আসছি, কোন কথা বলবি না। তারপর মাকছুদুল্লাহকে দড়ি দিয়ে বেধেঁ রামদার উল্টোপিট দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং ভয়-ভীতি দেখায়। প্রাণের ভয়ে আমাদের সাথে ও ঘরে থাকা দুটি স্বর্ণের আংটি, দু’জোড়া স্বর্ণের কানের বালা, রূপার দুটি চেইন ও নূপুরসহ দুইটি মোবাইল সেট এবং নগদ দশ হাজার টাকা আলমিরা থেকে বের করে নিয়ে যায়। এতে সন্তুষ্টি না হয়ে আসাবাবপত্র তছনছ করতে থাকে ডাকাতদল। এরই মধ্যে পাশের্^র ঘরের লোকজন বাড়িতে ডাকাত আসছে এ খবরটি মোবাইল ফোনে ছঁড়িয়ে দিলে মূহূর্তের মধ্যে চারদিক দিয়ে এলাকাবাসী বেড়িয়ে পড়লে ডাকাতরা দ্রæত পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই এলাকায় টহলরত দুই কর্মকর্তাসহ কয়েকজন পুলিশ আমাদের বাড়িতে আসেন এবং অনেক সময় ধরে তদন্ত করেন।
কাঠালিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান, দক্ষিণ কৈখালী গ্রামের ফকির বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু ডাকাতি নয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।